বিষণ্ণ থাকা ব্যক্তিরা যে তিন শব্দ বেশি বলেন

বিষণ্ণ থাকা

ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে আবার বিছানায় যাওয়া পর্যন্ত চারপাশের মানুষের সঙ্গে যে ধরনের মিথস্ক্রিয়া হয়, কেউ বিষণ্নতায় ভুগলে তার ধরন পাল্টে যায়। এমনকি কেউ যদি বিষণ্নতায় ভুগতে থাকে, তাহলে তার কথা এবং লেখনিতেও সেটা বোঝা সম্ভব।

কখনো কখনো বিষণ্নতায় ভুগতে থাকা ব্যক্তির কথা অন্যদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। জানা গেছে, কবি ও গীতিকার সিলভিয়া প্লাথ এবং কার্ট কবিন নিজেদের লেখনিতে বিষণ্নতা প্রকাশ করতেন। তারা এতটাই বিষণ্ন ছিলেন যে, একপর্যায়ে আত্মহত্যা করেন।

বিজ্ঞানীরা বিষণ্নতার সঙ্গে ভাষার যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করেছেন। এমনকি এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তিরও সহায়তা নিয়েছেন তারা। ক্লিনিকাল সাইকোলজিকাল সায়েন্সে পরে সেই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হয়। তাতে উঠে এসেছে, বিষণ্নতায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিরা তিনটি শব্দ বেশি ব্যবহার করেন।

গবেষকরা বলছেন, বিষণ্নতায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের একা ভাবেন, তাদের মন খারাপ থাকে এবং তারা দুর্দশাগ্রস্থ থাকেন বলে মনে করেন।

গবেষকরা আরো বলছেন, তারা সবসময় আমি, আমার হিসেবে সবকিছু চিন্তা করেন। তারা কখনোই তারা, তাদের, তার বলে চিন্তা করে না। যারা কেবল নিজেদের ব্যাপারে ভাবতে পছন্দ করে, বুঝতে হবে তারা বিষণ্নতায় ভুগছে।

ছয় হাজার চারশ জনের ওপর গবেষণার পর দেখা গেছে, বিষণ্নতায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিরা নেতিবাচক কিছুর ক্ষেত্রে বলে থাকেন, সবসময়, কিছুই না, সম্পূর্ণ শব্দগুলো। যেমন, জীবনে কিছুই পেলাম না, সবসময় এভাবে পার হচ্ছে এবং সম্পূর্ণ বাজে সময় পার করছি। বিষণ্নতায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ৮০ শতাংশের আত্মহত্যা করার প্রবণতা রয়েছে। এরা কোনোকিছু হলেই জীবনাবসান করার চিন্তা করে।

আরএম-১৬/০৬/১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)