প্রথমে লালচে এরপর কালচে

প্রথমে লালচে

একটু বেশি সময় রোদে থাকলেই সোনিয়ার মুখ লাল হয়ে যায়। কিছু সময় পরে লাল ভাবটা কেটে গেলেও দুই একদিনের মধ্যেই মুখের ত্বকের বেশ বড় একটা জায়গা জুড়ে কালো দাগ বসে যায়।

গালের দু’পাশে এই কালচে দাগ নিয়ে সোনিয়া খুব চিন্তায়, এই অবস্থা থেকে মুক্তির পথ কী হতে পারে, বিস্তারিত জানিয়েছেন বিউটি এক্সপার্ট ফারনাজ আলম।

ফারনাজ বলেন, প্রাথমিকভাবে একটু রোদে গেলে বা চুলায় রান্না করলেই যদি ত্বক লাল হয়ে যায়, তবে একন থেকেই সচেতন হতে হবে, কারণ এটি মেছতার লক্ষণ।

ঘরোয়া ভাবে কিছু প্যাক ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। ট্রাই করে দেখে নিন কোনটি আপনার ত্বকে ভালো কাজ করছে…

চালের গুঁড়া

সপ্তাহে দুই দিন দুই চা চামচ চালের গুঁড়া ও একটি ডিম একসঙ্গে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মেছতা দূর হবে ও একইসঙ্গে ত্বক হবে নরম, কোমল ও উজ্জ্বল।

টক দই

মুখের মেছতা দূর করতে টকদই এর বিকল্প নেই। ২ চামচ টকদই এর সঙ্গে আধা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে ৪ দিন ব্যবহারে খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।

টমেটো

টমেটোর ভিটামিন সি মেছতা দূর করতে অনেক উপকারী। একটা টমেটো কেটে মেছতার অংশটুকুতে প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে মেছাতা খুব দ্রুত হালকা হয়।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার পাল্প ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক উপকারী। একটি অ্যালোভেরা কেটে এর জেলো এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগিয়ে নিন। এবার ২০ মিনিট পর হালকা আঙুল দিয়ে ঘষে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে বের হবেন। রোদে গেলে অবশ্যই ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহার করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। মেছতার সবচেয়ে আধুনিক চিকিৎসা হলো, মাইক্রোডার্মো অ্যাব্রেশন। এতে যন্ত্রের সাহায্যে ব্যথামুক্তভাবে ত্বকের সবচেয়ে ওপরের স্তর তুলে আনা হয়। এরপর ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, যাতে দ্রুত মেছতা সেরে যায়। লেজারের মাধ্যমেও এখন চিকিৎসা হচ্ছে।

তবে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রেখে ও রোদ-চুলার তাপ থেকে দূরে থাকলেও মেছতা ধীরে ধীরে চলে যায়।

আরএম-৩০/০৭/১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)