বিবাহিত জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন এমআইটির অধ্যাপক দম্পতি অভিজিৎ ব্যানার্জি ও এস্তার ডুফলো। এই দম্পতি বিশ্বের শীর্ষ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের দারিদ্র্য বিমোচনের একটি মডেল নিয়ে ২০০৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত গবেষণা করেন।
২০১৫ সালে তাদের গবেষণার ওপর একটি প্রবন্ধ ছাপা হয় বিখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্টে। এরপর হইচই পড়ে যায় সারাবিশ্বে।শুধু তাদের গবেষণা নিয়েই নয় তাদের একসঙ্গে থাকাটাও একটা মাইলফলক। একে ‘কাপলগোল’ বলা যায়। নোবেল প্রাপ্তি এবং বিয়ে টিকিয়ে রাখার মতো দুটো কঠিন কাজ তারা একসঙ্গে করেছেন।
বিয়ে মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিবাহিত জীবন সুখে থাকাটা নির্ভর করে মূলত দম্পতির আচার-আচরণের ওপর। বিবাহিত জীবনে সুখে থাকার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয় বলে মনে করেন মনোবিজ্ঞানীরা। এজন্য কিছু কাজ করা দরকার। যেমন-
১. সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান:
সঙ্গীকে নিয়ে ভ্রমন করলে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এতে শারীরিক ও মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। বুকিংডটকমের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, সঙ্গীর সঙ্গে ভ্রমণের মধ্যে গোপন সুখ বজায় থাকে।১৭টি দেশের ১৭ হাজার দম্পতির মতামত নিয়ে এই গবেষণা প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ৪৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, সঙ্গীর সঙ্গে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে তারা সুখ খুঁজে পান।
২. সঙ্গীর হাত ধরুন:
সঙ্গীর হাত ধরলে শরীরে লাভ হরমোনের নিঃসরণ ঘটে।ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীর হাত ধরলে স্ট্রেস কমে এবং নিজেকে নিরাপদ মনে হয়। শুধু তাই নয় হাত ধরার ফলে শারীরিক ব্যাথা-বেদনাও অনেক কমে। সঙ্গীর হাত ধরা হার্টের জন্যও ভালো।
৩. মনের কথা খুলে বলুন:
সঙ্গীকে মনের কথা খুলে বলুন। ভালো-মন্দ দুটো বিষয়ই সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করলে সম্পর্কে জটিলতার সৃষ্টি হবেনা।
৪. পরিবারকে সম্মান করুন:
সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সম্মান করুন। রেগে গিয়ে কখনো পরিবার নিয়ে বাজে কথা বলবেন না।
৫. পেশার প্রতি সহনশীল হোন:
সঙ্গীর পেশাকেও শ্রদ্ধা করুন। একই পেশা হলে কখনো প্রতিযোগী না হয়ে সহযোগী মনোভাব বজায় রাখুন।
৬. হাসি-খুশি থাকুন:
সঙ্গীর সঙ্গে হাসি-খুশি থাকতে হবে। একে অপরের সঙ্গে ভালো মুহূর্ত কাটানোর ইচ্ছা থাকতে হবে।
আরএম-১৭/১৬/১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)