স্ত্রী বেশি রোজগার করলে স্বামীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি

স্ত্রী বেশি

বিয়ের পর স্বামী কিংবা স্ত্রীর কিছু কিছু সুখবর সংসার জীবনে অশান্তি নিয়ে আসে। বিশেষ করে স্ত্রীর বেশি উপার্জন করলে তা স্বামীর জন্য পীড়াদায়ক!

একটি গবেষণা দেখা গেছে, যেসব স্ত্রী তার স্বামীর চেয়ে বেশি রোজগার করেন সেসব স্বামী মানসিক পীড়ায় ভোগেন। কিন্তু যে স্ত্রীরা তার স্বামীর আয়ের উপর নির্ভরশীল সেই স্বামীরা মানসিকভাবে বেশি ভালো থাকেন।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বাথের একদল গবেষক এ নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষণায় দেখা যায়, যেসব স্বামী তার স্ত্রীর চেয়ে কম রোজগার করেন তারা মানসিক কষ্টে ভোগেন। তবে স্ত্রী যদি বিয়ের আগে থেকে বেশি উপার্জন করে থাকেন এবং সামাজিক মর্যাদা যদি বেশি থাকে সেক্ষেত্রে স্বামী মানসিক কষ্টে ভোগেন না। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, আগে থেকেই স্ত্রীর বেতন এবং পদমর্যাদা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকায় তা পুরুষকে কষ্ট দেয় না।

সংসার জীবনের বয়স যাদের ১৫ বছর হয়েছে এমন ৬ হাজার দম্পত্তি নিয়ে গবেষণা করা হয়। জরিপে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দম্পত্তিদের মধ্যে দেখা যায়, যে নারীরা পুরুষের আয়ের চেয়ে কম আয় করেন এবং সংসারে আয়ের একটা অংশ খরচ করেন সেক্ষেত্রে পুরুষরা মানসিক পীড়ায় কম ভোগেন।

গবেষণায় আরো উঠে আসে, যে নারী স্বামীর তুলনায় বেশি আয় করেন তারা সংসারে ক্ষমতা নিয়েও দরকষাকষি করেন। এই দর কষাকষি এমন এক পর্যায় চলে যায় যে এক সময় তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।

ইউনিভার্সিটি অব বাথ স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের অর্থনীতিবিদ ডা.জোয়ানা সিরিদা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ধারণা হয়ে আছে যে, স্বামী তার স্ত্রীর চেয়ে বেশি উপার্জন করবে। কম উপার্জনকারী স্বামীকে সমাজে হেয়ভাবে দেখা হয়। যা স্বামীর জন্য পীড়াদায়ক।’

তিনি আরো জানান, কম আয় করা স্বামী নিজেকে সংসারে মূল্যহীন বোধ করেন এবং সামাজিকভাবে নিজেকে দুর্বল ভাবতে থাকেন। তারা এসব কারণে সবসময় অস্থিরতা এবং হতাশায় ভোগেন। যা তার সার্বিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে।

ডা.জোয়ানা সিরিদা বলেন,‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতার অনেক বদল হয়েছে। এখন বেশিরভাগ পুরুষ তার স্ত্রীর উপার্জন এবং পদোন্নতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন। তারা স্ত্রীর আয় কম-বেশি নিয়ে মাথা ঘামান না এবং তাদের উপর খবরদারি করেন না।’

আরএম-০৯/১২/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: মিডডে)