কফি পানের উপযুক্ত সময় কোনটি?

কফি পানের

সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক কাপ কড়া কফি পান না করলে দিনের শুরুই হয় না। এক কাপ ধূমায়িত কফি, সাথে পছন্দসই হালকা নাশতা- এভাবেই দিনের শুরু হয় অনেকের। কফি পানে শরীরে ক্যাফেইন প্রবেশের ফলে ঘুম ভাব কেটে যায়, কাজ করার স্পৃহা পাওয়া যায় এবং নিজেকে ফুরফুরে মনে হয়।

কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেই কফি পান করা কি সঠিক? কিংবা কফি পানের উপযুক্ত সময় কোনটি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা প্রয়োজন নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য। প্রতিটি খাবার খাওয়ার জন্যেই রয়েছে সঠিক ও নির্দিষ্ট সময়। কফির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নেই।

রেজিস্টার্ড ডায়েটেশিয়ান ও ‘ইউমেনস হেলথ বডি ক্লক ডায়েট’ বইটির লেখিকা লরা চিপালো জানান, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত কফি পান না করাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। কারণ সকালে শরীরে ক্যাফেইনের মাত্রা হুট করে অনেক বেড়ে যায় কফি পানের ফলে এবং এই কয়েক ঘন্টা পর ক্যাফেইনের মাত্রা স্বাভাবিক নিয়মে কমেও যায়। এতে করে সারাদিন ভর নিজেকে ক্লান্ত ও অবসন্ন মনে হয়।

তার পরামর্শ অনুযায়ী মধ্য-সকাল থেকে বিকালের আগ পর্যন্ত সময়ের মাঝে কফি পান হলো সঠিক ও উপযুক্ত সময়। ঘুম থেকে ওঠার অন্তত তিন-চার ঘন্টা পর ক্যাফেইন গ্রহণের রহস্যটি হলো, শরীরকে ক্যাফেইনবিহীন অবস্থায় জাগ্রত করায় অভ্যস্ততা গড়ে তোলা।

সকালে শরীর যখন ক্যাফেইন পাবে না তখন নিজে থেকেই জেগে ওঠার ও সচল হওয়ার চেষ্টা করবে এবং একটা সময় পর অভ্যস্ততা চলে আসবে। এরপর মধ্য-সকালে কফি গ্রহণ করলে শরীর ক্যাফেইনের সাহায্যে আরও চাঙ্গা হবে। তবে এতে করে সাধারণ নিয়মের উপর কোন প্রভাব পড়বে না।

এদিকে রেজিস্টার্ড ডায়েটেশিয়ান-নিউট্রিশনিস্ট ম্যালেনি ডিলেজেনস পরামর্শ দিয়েছেন কফি গ্রহণ যথাসম্ভব সীমিত রাখার প্রতি। মধ্য-সকাল থেকে বিকালের আগ পর্যন্ত দুই-তিন কাপ কফিই একদিনের জন্য যথেষ্ট। একইসাথে খেয়াল রাখতে হবে বিকালের পর কফি গ্রহণ না করার জন্য। কারণ এতে ক্যাফেইনের প্রভাবে রাতে ঘুম আসতে সমস্যা দেখা দিবে। গবেষণার তথ্য মতে কফি গ্রহণের ফলে অন্তত ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত তার প্রভাব শরীরে রয়ে যায়।

তবে সবকিছুর পরেও সবচেয়ে নিরাপদ হলো ডিক্যাফ কফি পান করা। এতে ক্যাফেইনের মাত্রা ও প্রভাব নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় না।

আরএম-১৪/০৭/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)