জেনে নিন রান্নাঘরের জরুরি কিছু টিপস

জেনে নিন

প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে আমাদের নির্ভর করতে হয় ঘরে তৈরি খাবারের উপরেই। আর খাবার তৈরি করতে হলে আপনাকে রান্নাঘরে যেতেই হবে। রান্নার সহজ কাজটি অনেকে না বুঝে জটিল করে ফেলেন। আবার অনেক বিষয় না জানার কারণে রান্নার স্বাদ-গন্ধও নষ্ট হতে পারে। আজ জেনে নিন জরুরি কিছু টিপস। যা আপনার রান্নার পাঠ আরও সহজ করতে সাহায্য করবে-

রান্নায় মশলার ব্যবহার সব সময় মাপমতো হয় না। বেশি-কম হতেই পারে। রান্নায় যদি হলুদ বেশি দিয়ে ফেলেন আর খাবার থেকে হলুদের গন্ধ বের হয়, তাহলে ভুলেও তাতে পানি মেশাবেন না। খুন্তি আগুনে সামান্য পুড়িয়ে সেটি দিয়ে তরকারি নেড়ে নিন। গন্ধ চলে যাবে।

ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু। কিন্তু রান্না করতে গিয়ে এটি অনেক সময় গলে যায়। যার কারণে স্বাদ ও সৌন্দর্য দুটিই নষ্ট হয়। তাই ফুলকপি সেদ্ধ করার সময় আধা চা চামচ দই বা দুধ দিয়ে দিলে কপি গলে যাবে না।

বাঁধাকপি খেতে সুস্বাদু। তবে অনেক সময় এই সবজিটি খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাঁধাকপি রান্নার সময় অল্প একটু ভাপিয়ে নিলে পেটের সমস্যা হয় না।

চালে পোকা ধরা একটি পরিচিত সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে চালের পাত্রে কয়েকটি শুকনো মরিচ আর ছোট্ট কাপড়ে বিট লবণ বেঁধে রেখে দিন। চালে সহজে পোকা ধরবে না।

পেঁয়াজ কাটতে গেলে আমাদের সবারই চোখের পানি, নাকের পানিতে নাজেহাল অবস্থা হয়। কিন্তু জানেন কি, কাটার আগে পেঁয়াজ মিনিট দশেক পানিতে ভিজিয়ে রেখে কাটলে আর চোখ জ্বালা করবে না।

প্রায় সবার বাসায়ই দেখা যায় দুধের বোতল রাখা হয়ে থাকে রেফ্রিজারেটরের দরজার খাপে। কিন্তু দুধের বোতল রাখা উচিত রেফ্রিজারেটর এর ভেতরে। কারণ দরজা খুললেই রেফ্রিজারেটর এর তাপমাত্রার বিশাল একটা তারতম্য দেখা দেয় যা কিনা বোতলে রাখা দুধের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে দুধ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

কেক অথবা যেকোনো কিছু বেক করার সময়ে যে ভুলটি আমরা সবসময় করি সেটি হলো, ওভেনের দরজা খুলে বারবার খাবার পরীক্ষা করা। এর ফলে খাবার তার পরিপূর্ণ আকার পায় না।

সকাল কিংবা বিকালের নাস্তায় পাউরুটি সবার বাসায়ই থাকা চাই। তবে প্রতি বেলায় পাউরুটি খাওয়ার পর রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে ভুলবেন না। এতে করে পাউরুটি থাকবে একদম সতেজ।

রান্নায় লবণ বেশি হলে অনেকে চিনি বা পানি মিশিয়ে একটু ফুটিয়ে স্বাদটা দেখে নেন। এতকিছু করতে হবে না, শুধু রান্নায় একটুকরো কাঁচা আলু দিয়ে দিন। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

কফি তেতো হয়ে গেলে ফেলে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। না ফেলে তাতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। অতিরিক্ত তিতকুটে ভাবটা কেটে যাবে।

আরএম-১৩/১২/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)