প্রাচীন কালের জন্মনিয়ন্ত্রণের আজব কিছু নিয়ম

প্রাচীন কালের

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের জীবনধারাতে পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখন বিভিন্ন পদ্ধতিতে ও সহজ ভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করার নিয়ম তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রাচীন যুগে জন্মনিয়ন্ত্রণ এতোটা সহজ ছিল না। ঠিক একইভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণেও এসেছে নতুনত্ব। আর এর জন্য তাদের করতে হয়েছিল অনেক কষ্ট।

আসুন তবে জেনে নেয়া যাক প্রাচীন কালের জন্মনিয়ন্ত্রণের আজব কিছু নিয়ম-

নেকড়ের মূত্র: মধ্যযুগে বেশ ভালো রকমের অন্ধ বিশ্বাস ছিল সবার ভেতরে। বিশেষ করে ব্যাপারটা ঔষধ নিয়ে হলে তো কথাই নেই! চিকিৎসার নানারকম ধরন ছিল তখন। আর তারই একটা অংশ হিসেবে সেসময় নারীদের অযাচিত গর্ভধারণ থেকে দূরে থাকতে যৌ’নমি’লন করবার আগেই ঘরের বাইরে গিয়ে কোন নেকড়ের মূত্র ত্যাগ করার স্থানের ওপর মূত্র ত্যাগ করতে হতো। কিংবা ঘুরে আসতে হতো কোন গর্ভবতী নেকড়ের মূত্রত্যাগের স্থান থেকে!

মধু: প্রাচীন মিশরে নারীর গর্ভধারন এড়াতে ব্যবহার করা হত মধু। তবে পুরুষ নয়, নারীরা ব্যবহার করতো এটা। মনে করা হতো মধুর প্রলেপ থাকলে পুরুষের শু’ক্রাণু নারীর ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে জন্ম হবেনা কোন সন্তানেরও! বর্তমানে অবশ্য মধুর পরিবর্তে হানি ক্যাপ ব্যবহার করে অনেকে।

লাইসল: খুব বেশি দূর যেতে হবেনা। ১৯০০ এর প্রথম’দিকের কথা। তখনো জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ হয়নি আমেরিকায়। লাইসল নামের একটি পণ্য বের করা হয় বাজারে। যেটা কিনা নারী দেহের ভেতরে গিয়ে খানিকটা অংশ জ্বালিয়ে দেবে আর ‘নিরাপদ’ ভাবে নিশ্চিত করবে জন্মনিয়ন্ত্রণ! তবে যতটা নিরাপদই বলা হোক না কেন, এটা ব্যবহার করতে গিয়ে আহত তো হনই, নি’হতও হন প্রায় ৫ জন!

পারদের মিশ্রণ: চীনে গর্ভধারণ এড়াতে অদ্বূত এক পদ্ধতি অবলম্বন করা হতো। আর সেটা হচ্ছে তেল আর পারদের মিশ্রণ পান করা। খালি পেটে নারীদেরকে অসময়ে গর্ভধারণ থেকে বাঁ’চার জন্যে এই মিশ্রণটি খেতে হতো। যদিও এখন আমরা জানি পারদ হাড় আর শ’রীরের জন্যে ঠিক কতটা ক্ষতিকর!

চাঁদের দোষ: গ্রীনল্যান্ডে মনে করা হত একজন নারীর গর্ভবতী হওয়ার পেছনে সবচাইতে বড় অবদান হচ্ছে চাঁদের। আর তাই গর্ভধারণ এড়াতে চাঁদকে এড়িয়ে চলত নারীরা। তাকাতো না চাঁদের দিকে। এমনকি ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিজেদের পেটে থুতু লাগিয়ে নিত তারা। যাতে করে ঘুমের ভেতরেও চাঁদ কোন ধরনের ঝামেলা করে ফেলতে না পারে।

জলপাই তেল: প্রাচীন গ্রীসে জলপাই তেল আর সিডারের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতো পুরুষেরা। কারণ, মনে করা হতো এটি তাদের শুক্রাণুকে অনেক বেশি দূ’র্বল করে দেয়। ফলে সেটা নারীকে গর্ভবতী হওয়া থেকে বিরত রাখে।

আরএম-০৫/২৬/০১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)