জ্বর-ঠান্ডা মানেই করোনা নয়

জ্বর-ঠান্ডা

জ্বর কিংবা ঠান্ডা মানেই করোনা নয়। তাই শুধু এমন লক্ষণ দেখা দিলেই হাসপাতালে না ছোটার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, জ্বর হলেই আতঙ্কিত না হয়ে, হতে হবে সচেতন। তবে টানা জ্বর, শুকনা কাশি ও শ্বাসকষ্ট কোভিড-নাইন্টিনের লক্ষণ।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সম্ভাব্য বিপদের কথা মাথায় রেখে শুধু আইসোলেশন নয়, প্রতিটি জেলায় জেলায় হচ্ছে গণকোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা।

বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। বাংলাদেশে এখন দিনে দিনে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাইতো যেকোনো জ্বর হাঁচি কাশিতেই হাসপাতাল কিংবা আইইডিসিআরের দিকে ছুটছে মানুষ। কিন্তু এসব লক্ষণ মানেই কি কোভিড নাইনটিন?

করোনার এই প্রজাতিতে সংক্রমণ হলে সব সময় জ্বরই থাকে। তবে অন্য ভাইরাস জ্বরে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। সাধারণ ঠান্ডা, জ্বর কিংবা এলার্জিজনিত সমস্যায় মাখা ব্যথা থাকলেও কোভিড নাইন্টিনে মাথাব্যথা হতে পারে। থাকতে পারে সাধারণ ব্যথাও। অন্য ভাইরাসজনিত জ্বরের মতো অবসাদ কিংবা দুর্বলতা না থাকলেও মাঝে মধ্যে এমনটা হতে পারে। তবে সর্দি, কাশি কিংবা বার বার হাঁচির লক্ষণ কোভিড নাইন্টিনের। আবার অন্য জ্বরের ক্ষেত্রে গলাব্যথা থাকলেও কোভিড নাইনটিনের বেলায় তা বারবার অনুভূত হবে। তবে অন্য জ্বরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তেমন না হলেও করোনা মারাত্মক হলে এ সমস্যা প্রকট হয়।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইউজিসি অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সচেতন থাকতে হবে। প্রবাসীদের ক্ষেত্রে বেশি সচেতন থাকতে হবে।

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের কাছ থেকে সংক্রমিত হলেও এখনো তা ছড়িয়ে পড়ছে অন্যদের মাঝে। তাই আসন্ন বিপদ মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। উপজেলা পর্যায়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডের পাশাপাশি গণ কোয়ারাইন্টাইনের জন্য তৈরি হচ্ছে প্রতিটি জেলা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, প্রত্যেকটা হাসপাতালে আইসোলেশন আছে।

এছাড়া চিকিৎসকদের জন্য অবস্থান ভেদে পিপি সরবারহ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আরএম-০৪/২০/০৩ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)