সুস্থ জীবনধারাই সকল সুখের মূল

সুস্বাস্থ্যই জীবনের সকল সুখের মূল। সুন্দর আর সুস্থ জীবনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়া আর পর্যাপ্ত ব্যায়াম যেমন প্রয়োজন তেমনি দুইয়ের ভারসাম্য বজায় রাখাও অতি গুরুত্বপূর্ণ। যেকোন একটি কম বেশি হলেই দেখা দিতে পারে সমস্যা।

সুস্থ থাকতে ভালো খাবারের পাশাপাশি শরীরচর্চাতেও বিশেষ ‍দৃষ্টি দিতে হবে।

এনডিটিভি বাংলার তথ্যমতে, সুস্থ জীবনধারার দীর্ঘমেয়াদি সুফল পেতে মেনে চলুন ৬ টি নিয়ম:

১. ধৈর্য্য ধরে খান

যখন খিদে পাচ্ছে তখন খাচ্ছেন নাকি যখন ইচ্ছে হচ্ছে তখন খাচ্ছেন এই দুইয়ের পার্থক্য করা খুব দরকার। যখন প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছেন বা রেগে আছেন বা প্রচণ্ড আনন্দেও থাকেন তখন খাবার খাওয়া থেকে সতর্ক থাকুন। কেননা এই সময় আপনি অনিয়ন্ত্রিতভাবে খেয়ে ফেলতে পারেন। এছাড়া খাবার খাওয়ার সময় টিভি দেখা বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। মন দিন খাবারে আর খাওয়ায়। কী খাচ্ছেন তাতে মনোনিবেশ না করলে অধিক খেয়ে ফেলবেন।

২. সময়সূচি মেনে ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম শুধু শরীরের জন্যই উপকারী নয়, মনের জন্যও ভালো। নিয়মিত যোগাভ্যাস ও ব্যায়াম ভালো থাকার হরমোনগুলোর প্রবাহ বাড়ায়। সেজন্য নিজের কাজ, মিটিং বা অন্যান্য প্রয়োজনের জন্য সময় ঠিক করেন, তেমনই ব্যায়ামের জন্যও প্রতিদিন কিছু সময় বের করুন।

৩. খাবার বাদ দেবেন না

ওজন কমানোর তাড়াহুড়োয় প্রতিদিনের খাবার এড়িয়ে যাবেন না। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যেমন শরীরে যাবে না, তেমনই আপনার নানান শারীরিক জটিলতার কারণও হয়ে উঠবে এই খাবার না খাওয়ার অভ্যাস। একবার খাবার না খাওয়া মানেই দ্বিতীয়বার খাবার সময় বেশি খেয়ে ফেলা। তার থেকে বরং নিয়মিত খান। সবজি আর নিয়ন্ত্রিত শর্করার মাত্রা বজায় রাখুন খাদ্য তালিকায়।

৪. অন্য পানীয়ের বদলে পানি খান

কোমলপানীয় পান করতে সবারই ভালো লাগে। তবে চেষ্টা করুন এগুলোর বদলে পানি খেতে। পানির উপকারিতা অসংখ্য। কোনও রকম ক্যালোরির অদলবদল না ঘটিয়ে পানি আপনাকে সতেজ রাখে।

৫. কিছু খাবার বাদ দিন

নানান জাঙ্কফুড এবং চকলেটের জন্য লোভ হওয়া স্বাভাবিক। মনে রাখবেন সুস্থ জীবনযাত্রা চালাতে গেলে মাঝেমাঝে কিছু জিনিস বাদ দেওয়া ভালো। কোনও বিশেষ উপলক্ষ্যে মাঝেমধ্যে এসব খেতে পারে, তবে বাদ দেয়াটাই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৬. অংশ নিয়ন্ত্রণ

খাবারের টেবিলে বসে সবকিছুই চেখে দেখা ভালো ব্যাপার। তবে মনে রাখুন, সব চেখেই দেখলেও লোভে পড়ে বেশি খেয়ে নেবেন না। কতটা খাচ্ছেন তার উপরেই কিন্তু শরীরের অনেক বিষয় নির্ভর করে থাকে।