রোগ মুক্তির পর যা পরিষ্কার করা উচিত

সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও জীবাণু যেন পুনরায় আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য সচেতন থাকতে হবে। অসুস্থ থাকা অবস্থায় আমরা অনেক বিষয়ের প্রতিই সচেতনতা অবলম্বন করি। সুস্থ হলে সেসব আর মাথায় নেওয়া হয়না।

স্বাস্থ-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে আরোগ্য লাভের পরে ঘর জীবণু মুক্ত রাখতে যা করণীয় তা জানানো হল।

শৌচালয় পরিষ্কার রাখা: শৌচালয় জীবাণুর বাসা। তাই স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হয়। আর অসুস্থতা থেকে সুস্থ হওয়ার পরে আরও বিশেষ সচেতনভাবে এর দরজার হাতল থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ সব কিছু পরিষ্কার করতে হবে।

রান্নাঘর পরিষ্কার: অসুস্থ থাকা অবস্থায় অনেক ময়লা সামগ্রী রান্নাঘরের ডাস্টবিনে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও রোগীর ব্যবহৃত বাসনও এখানে রাখা হয়। তাই সুস্থ হয়ে ওঠার পরে রান্নাঘর ও ব্যবহৃত সামগ্রী ভালোভাবে জীবাণু মুক্ত করতে হবে।

দরজার হাতল: হাত পরিষ্কারের জন্য তা বার বার ধোয়া উচিত। একইভাবে জীবাণু যেন না ছড়ায় তাই দরজার হাতলের ভেতরের ও বাইরের দুপাশের অংশই জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

তোয়ালে পরিষ্কার: অসুস্থ অবস্থায় ব্যবহার করা তোয়ালে পরে ঠিক মতো ধুয়ে পরিষ্কার হবে। জীবাণুনাশক- বোরক্স বা ব্লিচ ইত্যাদি দিয়ে তোয়ালে পরিষ্কার করে নিন।

বিছানাপত্র পরিষ্কার: অসুস্থ থাকা অবস্থায় বেশিরভাগ সময়ই কাটানো হয় বিছানায়। তাই সুস্থ হওয়ার পরে সবার আগে বিছানাকে জীবাণু মুক্ত করা উচিত। ধরন অনুযায়ী তা ধোয়া বা ভ্যাকুয়াম করা এবং প্রয়োজনে এতে জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।

কাপড় পরিষ্কার করা: অসুস্থ অবস্থায় ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় সুস্থ হওয়ার পরে ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। কাপড় শুকাতে উচ্চ তাপমাত্রা অথবা কড়া রোদ ব্যবহার করতে হবে।

মেঝে পরিষ্কার করা: রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার পরে ঘর, রান্নাঘর ইত্যাদির মেঝে এবং এখানে ব্যবহৃত আসবাব ভালো ভাবে পরিষ্কার করা উচিত। এছাড়াও লাইটের সুইচ, সিঁড়ির হাতল, কেবিনেটের হাতল ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

রিমোট কন্ট্রোল: অসুস্থ থাকা অবস্থায় রিমোট ব্যবহারের ফলে এতে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তাই সবসময় তা পরিষ্কার করা উচিত।

মোবাইল জীবাণুনাশ করা: ‘টাচ স্ক্রিন’ মোবাইল জীবাণু আকর্ষণ করে দ্রুত। তাই সুস্থ হওয়ার পরে মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটারের কি-বোর্ড ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী জীবাণুনাশক ওয়াইপ্স দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এতে পুনরায় জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

খেলনা: শিশুদের খেলনা জীবাণু মুক্ত করা প্রয়োজন। যেন তা পুনরায় আর সংক্রমণ ছড়াতে না পারে। বড় জিনিস জীবাণুনাশক ওয়াইপ্স দিয়ে পরিষ্কার করা গেলেও ছোট খাট খেলার জিনিস যেমন- লেগো, ব্রিকস ইত্যাদি বাসন মাজার সামগ্রী দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।

টুথব্রাশ: অসুস্থতা থেকে সুস্থ হওয়ার পরে ব্যবহৃত পুরানো ব্রাশ বাদ দেওয়া উচিত। তবে ঘরের অন্যান্য কাজে সেই ব্রাশ ব্যবহার করতে চাইলে তা পানি ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দিয়ে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে জীবাণু মুক্ত করে নিতে পারেন। ব্রাশ পরিবর্তন করার পাশাপাশি ব্রাশ রাখার হোল্ডারও পরিষ্কার করার কথা মনে রাখতে হবে।

ময়লা পাত্র ও ক্যান পরিষ্কার করা: ব্যবহৃত পুরানো ক্যান নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই ব্যবহারের পরে তা সরিয়ে ফেলা ও যথাস্থানে ফেলে দেওয়া উচিত।