করোনার প্রাদুর্ভাবে মানসিক চাপ কমাবেন যেভাবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের অনেক দেশেই এখন লকডাউন চলছে। খুব বেশি প্রয়োজন না থাকলে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে নাগরিকদের। বাংলাদেশের সরকারও নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে একই পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। একটানা বাড়িতে থেকে অনেকেই মানসিক চাপে ভূগছেন। সেই সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্কও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে গেছে। মানুষের মধ্যে উৎকন্ঠা, রাগ, ঘুমে সমস্যা, হতাশাসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এটা্ও বলছেন, একটানা মানসিক চাপে থাকলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে শরীরের পাশাপাশি মনও সুস্থ রাখা দরকার। করোনা আতঙ্ক কাটাতে কয়েকটি বিষয় অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন-

১. শরীর-মন সুস্থ রাখতে ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় মেনে ঘুমাতে যান ও ঘুম থেকে উঠুন। ঘুমের জন্য হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এছাড়া ঘুম সহায়ক কিছু খাবারও খেতে পারেন।

২. বাইরে কাজ করার কারণে অনেকেরই দীর্ঘদিন টানা বাড়িতে থাকার অভ্যাস নেই। অনেকে আবার বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করছেন। কিন্তু বাড়িতে বসে থাকলে কিংবা কাজ করলেও কিছুক্ষণ পর পর বিরতি নেওয়া উচিত। নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে প্রতি ৪০ মিনিট পর পর একটা বিরতি নিন। পানি খান, না হয় ঘরের মধ্যে একটু হেটে আসুন। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

৩. ঘরের পোশাক একটানা পরে থাকলে ভালো নাও লাগতে পারে। সেজন্য গোসলের পর মাঝেমধ্যে বাইরের পোশাক পরে কাজ করতে পারেন। এতে কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ বাড়বে।

৪. চারিদিকে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খবর ছাড়া আর কোনো খবর এখন নেই বললেই চলে। এ কারণে ঘন ঘন খবর দেখা বা সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন। তা না হলে আপনি মানসিকভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

৫. দিনের পর দিন একটানা ঘরে থাকা সত্যিই কষ্টকর। যদি কারও বাড়িতে বারান্দা বা ছাদ থাকলে তাহলে সেখানে যান। হাতে এক কাপ চা নিয়ে বাইরের আকাশ দেখুন। ছাদে গেলে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলুন। সূর্যের আলো পেতে ঘরের জানালাও খুলে দিতে পারেন।

৬. বারান্দায় গাছ থাকলে সেগুলো পরিচর্যা করুন। ঘরের ছোট ছোট কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করুন।

৭. নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মন সুস্থ রাখতে মেডিটেশনও করতে পারেন।

৮. দূর থাকা আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলে মন হালকা করতে পারেন।