করোনাভাইরাস এড়াতে যে আট পরামর্শ মানতেই হবে

মারণ জীবাণু করোনাভাইরাসের ভয়ে কাঁপছে বিশ্ব। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও বেশ বাড়বে। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে হলে একমাত্র উপায় সচেতন হওয়া, ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া।

ভাইরাস এড়াতে যে সাত পরামর্শ আপনাকে মানতেই হবে

পরিবহণ

সারা দেশে এখন লকডাউন চলছে। কিন্তু কিছু পেশাজীবীদের মুক্তি নাই। দেশের কল্যাণে ডাক্তার, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মতো পেশাজীবীরা কাজ করছেন। এক্ষেত্রে যে কোনো ধরণের যানবাহনের চলাচলের সময় সাবধান হতে হবে। গাড়ির হাতল কিংবা আসনে করোনাভাইরাস থাকতে পারে। সেজন্য বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

কর্মক্ষেত্র

অফিসে একই ডেস্ক এবং কম্পিউটার ব্যবহার করলেও ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁচি-কাশি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায়। অফিসের ডেস্কে বসার আগে কম্পিউটার, কিবোর্ড এবং মাউস পরিষ্কার করে নিন।

ভিড়

যেসব জায়গায় মানুষ বেশি জড়ো হয় সেসব স্থান এড়িয়ে চলা কিংবা বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই অহেতুক ভিড় জমাচ্ছেন। যারা গ্রামীণ এলাকায় আছেন একজন অন্যজনের বাড়িতে ঘোরাঘুরি করছেন। এই সময় যে যার বাড়িতে অবস্থান করা উচিৎ।

কলম ও এটিএম

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যখন গ্রাহকরা যান তখন অনেকেই সেখানে থাকা সেই অফিসের কলম ব্যবহার করেন। অনেক সময় সহকর্মীদের কলম একাধিক জন ব্যবহার করেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি যদি সেই কলম ব্যবহার করেন তাহলে পরবর্তী ব্যবহারকারীদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

এটিএম বুথ

এটিএম বুথের বাটন অনেকে ব্যবহার করেন, সেখানেও ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। এটিএম ব্যবহার করেই হাত জীবাণু নাশক দিয়ে ধুয়ে নিন।

লিফট

ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরেকটি জায়গা হতে পারে বাড়ি কিংবা অফিসের লিফট। বিশেষ করে যারা বহুতল ভবনে থাকেন, এক লিফট একাধিক পরিবার ব্যবহার করেন। এদের মধ্যে কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থাকেন এবং সে লিফটের বাটনে অন্যদের আঙ্গুল গেলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। লিফট থেকে বেরিয়ে দ্রুত হাত জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে নিন।

টাকা-পয়সা

টাকা বা কয়েনে নানা ধরণের জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করার ঘটনা নতুন নয়। প্রয়োজনে টাকায় জীবাণুনাশক দিন।

শুভেচ্ছা বিনিময়

করমর্দন এবং কোলাকুলির মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। এই সময় দূর থেকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের চেষ্টা করুন।

কেনাকাটা

বাজার থেকে প্রায় আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হচ্ছে, আমরা নিয়মিত তরিতরকারি কিনছি। এক্ষেত্রে একজন একাধিক পণ্য কিংবা সবজি স্পর্শ করছেন। এর মধ্যে কেউ যদি করোনার জীবাণু বহন করেন তবে তার স্পর্শের জন্য অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য কিছু কেনার পর জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হয়।