আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মাঝেমধ্যে অনেককে বার বার খাই খাই করতে দেখি। খেলেও কেমন যেন একটা খাই খাই ভাব? এমন লক্ষণ শরীরের পক্ষে ভালো নয়। বরং চিন্তার কারণ। অতিরিক্ত খাই খাই ভাব মানেই কিছু হরমোনের অস্বাভাবিক ক্ষরণ। রক্তে চিনির পরিমাণ কমে গেলে কিংবা শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে খিদে খিদে ভাব বেড়ে যায়।
কীভাবে এই বিপদ কাটানো যায় আসুন দেখে নেওয়া যাক-
চুয়িংগাম মুখে রাখলে মিষ্টি এবং নোনতা খাবারের আসক্তি কিছুটা কমে বলছে গবেষণা। তবে তা যেন সুগার–ফ্রি হয়।
চিপসের বদলে খান স্বাস্থ্যকর কাজু, চিনাবাদাম বা আখরোট। তাতে মন না ভরলে অল্প করে পপকর্ন খেতে পারেন।
চকোলেট আসক্তি মাত্রা ছাড়ালে ম্যাগনেসিয়াম-সমৃদ্ধ অ্যামন্ড খান। কাজ না হলে মিল্ক চকোলেটের বদলে খান ৭০ শতাংশ কোকাসমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট।
ক্যান্ডি বা পেস্ট্রির বদলে খান ফল। কিসমিস বা খেজুর খেলেও কাজ হবে।
শরীরে পানির ঘাটতি না হলে খাই খাই ভাব একটু কম হয়। কাজেই দিনে কম করে আড়াই–তিন লিটার পানি খান। অল্প করে, বারে বারে।
ঘুম কম হলে ভাজা বা মিষ্টি খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়তে পারে। কাজেই ভালো করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
মানসিক চাপ বাড়লে গ্লুকোজসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা হয়। তবে তার স্থায়িত্ব থাকে ৩–৫ মিনিট। সে সময় আড্ডায়-কাজে কাটিয়ে দিতে পারলে বিপদ কমে যায়।
আরএম-১৮/১১/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)