ত্বক পরিষ্কারের একটি পন্থা ‘এক্সফলিয়েশন’। যা অতিরিক্ত মাত্রায় করলে হতে পারে প্রদাহ। ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল রাখার জন্য এক্সফলিয়েশন জরুরি। তবে তা যদি প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে ত্বকের ক্ষতি ডেকে আনে। এতে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে ফলে। যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহারে দেখা দেয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ত্বকে অতিরিক্ত এক্সফলিয়েশনের কারণে হওয়া ক্ষতি ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট হওয়ার লক্ষণ
অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট হওয়ার লক্ষণ হল- ত্বকের জ্বলুনি, ত্বকে লালচে ভাব বা প্রদাহ বৃদ্ধি। অতিরিক্ত এক্সফলিয়েশনের কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।
অতিরিক্ত ঘষার জন্য ত্বকে র্যাশ-সহ নানা রকমের প্যাচ ও ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও ত্বক সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে। ফলে অন্য কোন প্রসাধনী ত্বকে ব্যবহার করা যায় না।
রাসায়নিক এক্সফলিয়েশন খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হয়। না হলে ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই ধরনের এক্সফলিয়েট সামগ্রী ব্যবহারে ত্বক মসৃণ হয়। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকে কালো দাগ, র্যাশ ও জ্বলুনি সৃষ্টি করতে পারে।
ক্ষয় নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়
অতিরিক্ত এক্সফলিয়েশনের কারণে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সকল ধরনের ফেনা যুক্ত ফেইস ওয়াশ, রেটিনল ও দানাদার বা রাসায়নিক এক্সফলিয়েটর ব্যবহার বাদ দিতে হবে।
মুখ পরিষ্কার করতে মৃদু ও গন্ধহীন ফেইস ওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
লালচেভাব ও জ্বলুনি কমাতে ত্বকে ঠাণ্ডা প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে জ্বালাভাব কমবে। এক্ষেত্রে অ্যালো ভেরার জেল খুব ভালো কাজ করবে। কারণ এটা ত্বক শীতল ও আরাম প্রদান করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও ত্বকে ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। এটা ত্বক মসৃণ ও শীতল রাখতে সহায়তা করে।
আরএম-২২/১১/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)