সোহেল তাজ। একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান তিনি। মন্ত্রিত্বের মায়া ছেড়ে দেশের বাইরে চলে যান। বেশ কয়েক বছর পর ফিরে আসেন দেশে এক নতুন ইচ্ছাশক্তি নিয়ে। নতুন পরিকল্পনা নিয়ে।তরুণ-যুবাদের নিয়ে কাজ করতে হলে অদম্য ইচ্ছেশক্তি থাকতে হয়, তা বারবার স্মরণ করিয়ে দেন একসময়ের দাপুটে এই রাজনীতিক।
টেলিভিশন শোয়ের মাধ্যমে যেমন বদলাচ্ছেন তরুণ-যুবাদের মনোভাব, তেমনি নিজের শারীরিক শক্তি, সামর্থ্য আর শরীরের চর্চার নমুনা দেখিয়ে স্পষ্টই ঘোষণা করছেন- বয়স কোনো ব্যাপার না। আসলেই বয়স কোনো ব্যাপার না, এটা মুখের কোনো কথা নয়। সোহেল তাজ সে প্রমাণ সবার সামনে ছুড়ে দিয়েছেন। আর সেই ছবি লুফে নিয়েছেন নেটিজেনরা। দুমদাম করে তাঁরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ সব সোশ্যাল সাইটে শেয়ার দিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করছেন।
আজ এক ফেসবুক পোস্টে জানালেন ফিটনেসের রহস্য সম্পর্কে। তিনি লিখেছেন, ‘ আমাকে আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন আমার ফিটনেস এর রহস্য বা সিক্রেট কি I এই প্রশ্নের উত্তর যদি দিতেই হয় তাহলে আমি বলবো যে আমি আমার ইনস্পিরেশন বা অনুপ্রেরণা পাই বাংলাদেশের খেটে খাওয়া কৃষক, শ্রমিক বা একজন রিকশাচালকের কাছ থেকে I তাদেরকে দিনভর পরিশ্রম করে উপার্জন করতে হয় কিন্তু এই পরিশ্রমের বিনিময়ে তারা জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার পায়- যেটা হচ্ছে সুস্বাস্থ I
একজন কৃষক ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ কি তা সে জানেওনা- আর আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি যে কোনো খেটে খাওয়া মানুষ পাওয়া যাবে না যারা মোটা বা এইসব রোগে আক্রান্ত Iযেহেতু আমাদের সমাজ বাবস্থার পরিবর্তন হয়েছে আমরা অনেকেই এখন কোনো পরিশ্রম করি না বা করতে হয় না I কিন্ত এর একটা নেগেটিভ দিক আছে ঠিক যেমন একটা গাড়ি যদি বহুদিন পরে থাকে তাহলে সেই গাড়ি অচল হয়ে যাবে I একই ভাবে মানুষ কে তৈরী করা হয়েছে সচল থাকার জন্য আর আমরা সচল না থাকলে সেই গাড়ির মতো অকেজো হয়ে যাবো আর নানা ধরণের রোগ আর ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে হবে I একটা রিসার্চে (গবেষণায়) দেখা গিয়েছে যে বাংলাদেশে আজ থেকে ৫০ বছর আগে একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে ১৫ কিলোমিটার হাটতো আর এখন সেটা নেমে এসেছে ১ কিলোমিটারেরও কম। ’
আরএম-০৪/১৬/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)