উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য

উজ্জ্বল

ত্বক ভালো রাখার জন্য প্রত্যেকেই নিজেদের খাদ্য তালিকায় ভালো খাবার রাখেন, কিন্তু সেগুলো কতটা পুষ্টিকর তা নিয়ে চিন্তা করার সময় কারো নেই। আদৌ তাতে কতটা কীটনাশক রয়েছে তা নিয়ে ভাবার সংখ্যা অনেক কম। নিচে এই উজ্জ্বল ত্বক পেতে কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হলো-

পানি:

উজ্জ্বল ত্বক পেতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বেরিয়ে যায়। সকাল বেলা যদি উষ্ণ গরম পানি খাওয়া যায় তাহলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। পানি শরীরের টক্সিন বের করার পাশাপাশি হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

পানি শরীরের প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসাবেও কাজ করে। এর ফলে শরীরে বা মুখে ব্রণর সমস্যা দেখা দেয় না। এককথায় উজ্জ্বল ত্বকের জন্য পানি পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

মধু এবং লেবু:

সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা গরম পানিতে পরিমাণ মত মধু ও লেবু মিশিয়ে খেতে পারলে উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হওয়া যায়। মধুর মধ্যে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা পরে না। আর ভিটামিন সি যুক্ত লেবুর রস কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ফল বা সবজির জুস:

যেকোনও ফল বা সবজির জুস খেতে পারলে খুব ভালো হয়। এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ফাইবার এবং ভিটামিন থাকে যা উজ্জ্বল ত্বক ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

দুধের সঙ্গে হলুদ:

বাড়ির বড়রা সব সময় বলেন গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে। তাঁরা একেবারে ভুল কিছু বলেন না। হলুদের অ্যান্টিবায়োটি বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বককে সতেজ রাখে। তাই ঘরে এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারলেই দিনে দিনে ফিরে আসবে ত্বকের উজ্জ্বলতা, যা অন্যদের থেকে আলাদা হবে।

পর্যাপ্ত ঘুম:

সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে ঘুমানোর বিকল্প নেই। আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকেন, তখন শরীরের হাইড্রেশনে ভারসাম্য আসে এবং ত্বকে ময়েশ্চার যুক্ত হয়। এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চার ত্বককে মসৃণ করে এবং বলিরেখা দূর করে। ঘুমের অভাবে ত্বকে ক্লান্তভাব আসে, কালো দাগ বাড়ে, চোখের নিচে কালচে ভাব আসে; মাঝেমধ্যে ব্রণও হয়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে ভুলবেন না।