‘লাভ হরমোন’ নিয়ে গবেষণায় নতুন তথ্য

সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক, সন্তান জন্ম—এসবের ওপর ‘লাভ হরমোন’ অক্সিটোসিনের প্রভাব রয়েছে। তবে ইঁদুরজাতীয় প্রাণীর ওপর চালানো নতুন এক গবেষণা বলছে, এই তথ্যে গরমিল রয়েছে। এসব সম্পর্ক ও আচরণ শুধু অক্সিটোসিন হরমোনের ওপর নির্ভরশীল নয়।

এএফপির এক প্রতিবেদন বলছে ইঁদুরজাতীয় প্রাণী প্যারি ভোলের ওপর পরিচালিত ওই গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সিটোসিন হরমোনের কার্যকারিতা কম থাকলেও প্রাণীগুলো নিজের জোড় তৈরি করতে পেরেছে। সন্তান জন্ম ও লালন–পালনেও নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। এসব আচরণ অক্সিটোসিন হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। প্যারি ভোল স্তন্যপায়ী প্রাণী। সঙ্গীর সঙ্গে জীবনযাপন ও সামাজিক আচরণবিষয়ক গবেষণা এসব প্রাণীর ওপর পরিচালিত হয়।

এর আগের গবেষণায় এসব প্রাণীকে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ বন্ধের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। সে সময় দেখা গেছে, প্রাণীগুলো আর জোড়া তৈরি করতে পারছে না। সন্তানদের বুকের দুধ পান করাতে পারছে না মা।
মনোচিকিৎসক দেবানন্দ মানোলি ও স্নায়ু জীববিজ্ঞানী নিরাও শাহ অক্সিটোসিন হরমোনের ওপর কাজ না করে ভোলগুলোর জিনগত পরিবর্তন করেন। এরপর পরিবর্তিত পুরুষ ও নারী ভোলের আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবর্তিত ভোলগুলো জিন পরিবর্তন করা হয়নি এমন ভোলগুলোর সঙ্গে জুটি বাঁধতে পেরেছে। পরিবর্তিত নারী ভোলগুলো সন্তানের জন্ম দিতে ও লালন–পালন করতে পারছে।সান ফ্রান্সিসকোতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সহকারী অধ্যাপক মানোলি বলেন, তাঁদের কাছে এটি খুবই বিস্ময়কর মনে হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে মনে হয়েছে, জোড় বাঁধা বা সন্তান লালন–পালনের ক্ষেত্রে অক্সিটোসিন হরমোনই প্রধান নয়।

এসএ-২৯/০১/২৩ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)