ননদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার উপায়

পরিবারের সবার সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখে চললে জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু জীবন সব সময় সহজ পথে চলে না। নানা নাটকীয়তা, চড়াই-উৎড়াই থাকে। সেসব পার হয়েই আসতে হয়। বিয়ের পরে একজন নারীকে শ্বশুরবাড়ির নতুন আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। কিন্তু অনেক সময় অপরপক্ষ থেকে ঠিকঠাক সাড়া মেলে না। যে কারণে সম্পর্কটি আর সুন্দর হয়ে ওঠে না। অনেক বাড়িতেই ননদ-ভাবীর সম্পর্ক সুন্দর হয় না। অথচ এই সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হলে তা উভয়ের জন্যই কল্যাণকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ননদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায়-

সরাসরি কথা বলুন

সরাসরি কথা বলা হলো যেকোনো ধরনের দ্বন্দ্ব সমাধানের চাবিকাঠি। ননদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার ননদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে চায় বা আপনাদের পারিবারিক প্রোগ্রামগুলো এড়িয়ে যায় তবে নিজে তাকে দাওয়াত করুন। তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন, আপনার অনুভূতিগুলোও জানাতে পারেন। নিজের কথা জানানোর মতো অন্যের কথা শোনাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার কথাগুলোও মন দিয়ে শুনুন। এটি এমন এক উপায়, যার মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে দূরত্বের দেয়াল ভেঙে যেতে পারে। তখন খুব সহজেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

কমন ইন্টারেস্টের জায়গা খুঁজে বের করুন

কারো সঙ্গে বন্ধন তৈরি করার সর্বোত্তম উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো কমন ইন্টারেস্টের জায়গা আবিষ্কার করা। আপনারা দুজনেই কী উপভোগ করেন বা কী মিল আছে তা খুঁজে বের করুন। এটি হতে পারে রান্নার প্রতি ভালোবাসা, একটি নির্দিষ্ট শখ বা পছন্দের কোনো সিরিজই। এই অভিন্নতার দিকে জোর দিন। এই কাজগুলো আপনারা মিলেমিশে করতে পারেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই সুন্দর একটি বন্ধন তৈরি হবে।

লিমিট থাকুক

যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবার আগে সম্মান। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই এমন কারও সঙ্গে কথা বলার সময় এদিকে খেয়াল করা জরুরি। তাকে পার্সোনাল স্পেস দিন। তার ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা বা অন্যদের সঙ্গে তার সম্পর্কে গসিপ করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে। আপনি তাকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেন, এটা তাকে বুঝতে দিন। মানুষ তার কাছেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, যার কাছে সে নিরাপত্তা পায়।

প্রয়োজনে সাহায্য করুন

কাউকে জয় করার জন্য প্রয়োজনে তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোই যথেষ্ট। আপনার ননদ যদি খারাপ পরিস্থিতিতে থাকেন, তবে তাকে সাহায্য করুন। যেকোনো প্রয়োজনে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। এতে তার প্রতি আপনার সহানুভূতি ও আন্তরিকতা প্রকাশ পাবে। তার কঠিন সময়ে তাকে একা হতে দেবেন না। বিপদে পাশে থাকা মানুষকেই মানুষ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।

পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলো একসঙ্গে উদযাপন করুন

পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলো একসঙ্গে উদযাপনের মাধ্যমে ননদের সঙ্গে আপনার বন্ধনকে শক্তিশালী করুন। একটি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলুন এবং একসঙ্গে সুন্দর স্মৃতি তৈরিতে মনোনিবেশ করুন। গল্প শেয়ার করুন, হাসুন এবং পারিবারিক ঐতিহ্যে অংশগ্রহণ করুন যাতে সে নিজেকে পরিবারের একটি মূল্যবান অংশ মনে করে। আপনার সঙ্গে তার যত বেশি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা যুক্ত হবে, আপনি তার কাছে ততই প্রিয় হয়ে উঠবেন।

এসএ-১০/১০/০৮(লাইফস্টাইল ডেস্ক)