সময়। একটি অধরা, মূল্যবান সম্পদ যা আমরা সবচেয়ে বেশি চাই। তবুও এটি বালির দানার মতো আমাদের আঙ্গুলের মধ্য দিয়ে পিছলে যায়। সময় ধরে রাখা যায় না একথা সত্যি, তবে ভয়ের কিছু নেই। সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে জানলে দিনগুলো উপভোগ্য হবে, সময়ের অভাবে আর আফসোস করতে হবে না। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে ছোটখাটো পরিবর্তন এনে নিজের সেরাটুকু দিতে পারবেন। টাইম ম্যানেজমেন্ট না থাকার কারণে আমরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাই। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক, টাইম ম্যানেজমেন্টের সহজ ৫টি টিপস-
১. প্রতিদিন করণীয় তালিকা তৈরি করুন
প্রতিদিনের করণীয় কাজগুলোর তালিকা তৈরি করে নিন। প্রতিদিনেরটি প্রতিদিন করবেন। চাইলে আগের রাতেও তৈরি করতে পারবেন। একদিনও বাদ দেবেন না। এতে সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস তৈরি হবে। আপনার কাজে ছন্দ ফিরে পাবেন। কাগজে লিখে রাখতে পারেন বা আপনার ফোনের নোটবুকেও টুকে রাখতে পারেন। এতে কোনো কাজ বাদ পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। জরুরি কাজগুলো আগে সেরে নিতে পারবেন। এতে কাজে মনোযোগ দেওয়াও সহজ হবে।
২. কাজে ব্যাঘ্যাত ঘটাতে পারে এমন জিনিস দূরে রাখুন
আপনার ফোনটি যদি হাতের কাছে থাকে, তবে অজান্তেই তা কিছুক্ষণ পরপর আপনার হাতে উঠে আসবে। কাজে ব্যাঘ্যাত ঘটানোর জন্য এই একটি জিনিসই যথেষ্ট। তাই কাজের সময় ফোন দূরে রাখুন। দূরে রাখুন এ ধরনের সবকিছুই। কম্পিউটারে কাজ করার সময় ইউটিউব, ফেসবুক বা অপ্রয়োজনীয় কিছু খুলে রাখবেন না। এতে মন বারবার সেদিকে ঝুঁকে পড়বে। ফলস্বরূপ আপনার কাজ বাধাগ্রস্ত হবে। তাই কাজের সময় কাজটাকেই প্রাধান্য দিন। গভীরভাবে কাজে ডুব দিন। সুফল পাবেন।
৩. পোমোডোরো পদ্ধতি
পোমোডোরো টেকনিক হলো টাইম ম্যানেজমেন্টের হিরো। ২৫ মিনিট টানা কাজের পরে ৫ মিনিটের বিরতি নেওয়াই হলো এই পদ্ধতির মূল বিষয়। এতে কাজে একাগ্রতা বাড়ে। বিরতির ৫ মিনিট আপনাকে আরও বেশি সতেজ করে, শক্তির মাত্রা বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূরে রাখে। এটি আপনার মস্তিষ্কের জন্য ছোট অবকাশের মতো, যা আপনাকে নতুন করে মনোযোগসহ আপনার কাজে ফিরে যেতে দেয়।
৪. ‘না’ বলতে শিখুন
সবাই ‘না’ বলতে পারে না। কিন্তু আপনাকে এটি শিখতে হবে। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয়কে অবশ্যই ‘না’ বলতে শিখতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার সময় মূল্যবান। অপ্রয়োজনীয় জিনিসকে ‘না’ বললে আপনি সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুকে ‘হ্যাঁ’ বলতে পারবেন। দৃঢ়তার সঙ্গে ‘না’ বলতে শিখুন তবে রূঢ় আচরণ করবেন না। ভদ্রভাবে ‘না’ বলুন। ফিরিয়ে দিলেও সুন্দরভাবে ফিরিয়ে দিন।
৫. কাজ ভাগ করে নিন
দিনের বিভিন্ন কাজকে ধরন অনুযায়ী ভাগ করে নিন। এটি টাইম ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতির অন্যতম অংশ। এই পদ্ধতি সঠিকভাবে আপনার কাজগুলো সম্পাদন করতে সাহায্য করবে। বিভিন্ন দায়িত্বের জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখলে তা আপনার কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে। এই পদ্ধতি আপনাকে মনোযোগের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে জীবনেও ভারসাম্য আনবে।
এসএ-১০/১২/২৩ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)