নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে যা বললেন তারা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে৷ তবে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে৷ বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে৷

‘‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা দিয়ে নামানো উচিত বলে আমি মনে করেন বাবলু মোল্যা৷ আর সাইদুল আলম বলছেন, বিচারের ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে৷

সেনাবাহিনী থাকলেই ভালো নির্বাচন হবে, এমন মনে করার কারণ কী? মাহিদুল ইসলাম কারণটা জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘বিচারের ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে, কারণ, এখনো আমার মতো সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করে সেনাবাহিনী থাকলে কেউ ভোট চুরি, জাল ভোট দেয়া বা নির্বাচনে অরাজকতা সৃষ্টির সাহস পাবে না৷”

আর মাহবুবুল আলমের মতামত এরকম, ‘‘সেনাবাহিনী শুধু নির্বাচনের দিন পুলিশ প্রশাসনকে একটু চাপের ভিতর রাখলে চলবে৷তারা যেন অবৈধ কোনো কাজ না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷ ভোটের মাঠে জনগণ ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করবে৷ আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া ৫৭ জন বীর সন্তানের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না৷”

হামাদ সেজুলও নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়ে বলছেন, ‘‘সেনাবাহিনী পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারে, সেনা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবসা করতে পারে, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সম্পন্ন করা হয়, বাংলাদেশের সব কয়টা মেডিকেল কলেজে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়, তাহলে নির্বাচনে প্রবলেম কী?”৷

‘‘প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন অবশ্যই করতে হবে”- এমন দাবি হাবিবুর রহমান সোহাগের৷

মজিবুর রহমানের অনুরোধ, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে যে সকল ক্ষমতা ও দ্বায়িত্ব সেনা বাহিনীকে দেয়া হয়েছিল, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সেনা বাহিনীকে সে সকল ক্ষমতা ও দ্বায়িত্ব দেয়া হোক৷

তবে ভিন্নমত পোষণ করেন মাহমুদ৷ তিনি বলছেন, ‘‘আমি অবশ্যই সমর্থন করি না৷ সেনাবাহিনীকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উর্ধ্বে রাখতে হবে,নির্বাচনের কাজ করা সেনাদের কাজ নয়৷”

এসএইচ-০৮/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক,  সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার, সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী, ডয়চে ভেলে)