ঈদ কেন্দ্র করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারকচক্র তৎপর

ঈদ সামনে রেখে তৎপর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারকচক্র। ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ গ্রাহকের কোড বা পিন নম্বর সংগ্রহ করে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করছে, তাদের দিক থেকে ত্রুটি নেই, অসচেতনতার কারণেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। শতভাগ নিরাপদ কোনো সফটওয়্যার নেই বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এদিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, প্রতারকচক্র দ্রুত জায়গা পরিবর্তন করায় তাদের গ্রেপ্তার কিছুটা কঠিন হয়ে পড়ে।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে দেশের ১৬টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার। এর মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

ভুলে টাকা চলে এসেছে, লটারি জিতেছেন, এমন ভুল তথ্য দিয়ে পিন নম্বর হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও নতুন নয়।
প্রতারণার শিকার অন্তত শ’খানেক গ্রাহক প্রতিদিন বিকাশ হেল্প লাইনে অভিযোগ করে থাকেন বলে জানান বিকাশের হেড অব কমিউনিকেশন শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৬০ লাখ গ্রাহক লেনদেন করে, সে তুলনায় অভিযোগ অনেক কম। আমরা বিশে^র সর্বাধুনিক হুয়ায়ে সফটওয়্যার ব্যবহার করি হ্যাক করার কোন সুযোগ নেই।

তবে, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা তার এ বক্তব্যের সাথে ভিন্নমত পোষন করে বলছেন, পৃথিবীতে শতভাগ নিরাপদ কোনো সফটওয়্যার এখন পর্যন্ত নেই।

ঢাবির তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, শুধু প্রযুক্তির উপর ভর করে শতভাগ নিরাপদ সেবা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুবিধা যেমন পাওয়া যায় আবার এর মাধ্যমে অপরাধও হয়ে থাকে।

সিটিটিসির ডিসি মো. আলীমুজ্জামান বলেন, অনেকটা চ্যালেঞ্জ তাদের আটক করা। দ্রুত জায়গা পরিবর্তন করে তারা।

এসএইচ-১৫/৩১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন)