রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্ষণ বাড়ছে!

দেশে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা গণমাধ্যমে বেশি উঠে আসছে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক৷ সোমবার একটি সংবাদ মাধ্যমকে নিজের অবস্থান জানান আইনমন্ত্রী৷

ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘‘একটা ঘটনা যখন ঘটে একই রকম অনেক ঘটনা ঘটে যায়৷ আগুনের ঘটনা দেখেন৷ ধর্ষণের ঘটনা দেখেন৷ এ ব্যাপারেও কিন্তু আপনাদের (সাংবাদিক) একটু গবেষণার প্রয়োজন আছে৷ কোনো একটা আগুনের ঘটনা ঘটলে প্রায় জায়গায়ই আগুন লাগছে৷ আবার ধর্ষণের ঘটনা যখন হচ্ছে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যাচ্ছে৷”

আনিসুল হক বলেন, ‘‘আমি একটি বিষয় সন্দেহের মধ্যে রাখতে চাই৷ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য কোনো সংগঠন এইরকম কিছু করছে কিনা সেদিকেও সাংবাদিকদের দৃষ্টি দেয়া উচিত৷”

কঠোর আইন থাকার পরেও সাক্ষীর অভাবে ধর্ষণের মামলায় ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘‘মামলার বিচার যখন হয় তখন অনেকেই সাক্ষী দিতে আসেন না৷ আমাদের আদালত যখন সাক্ষ্য প্রমাণ পায়, তখন কঠোর শাস্তি দিতে কোনো কার্পণ্য করেন না৷” ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলেও অভিমত আইনমন্ত্রীর৷

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, সামাজিক কারণে অনেক সময় ভিকটিমও অভিযোগ করেন না৷ তাই কঠোর আইন থাকার পরেও ধর্ষণ বন্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিলেন তিনি৷

আনিসুল হক বলেন, ‘ঠিক ভয় নয়, সমাজিক কারণে কেউ কেউ হয়তো অভিযোগ করেন না৷ তারা মনে করেন বিষয়টি জানাজানি হলে কেমন হবে? মানুষ কিভাবে নেবে?”

মন্ত্রী বলছেন এভাবে ভাবার সময় শেষ৷ তাঁর মতে, ‘‘ধর্ষিতাকে সাহসী হতে হবে৷ মামলা করতে হবে৷ বিচার চাইতে হবে৷”

পুলিশি তদন্তে ত্রুটি নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘‘তদন্ত প্রক্রিয়ায় তেমন ঝামেলা আছে বলে আমার মনে হয় না৷ ওই যে আগেই বলেছি, মানুষ সাক্ষী দিতে আসেনা৷ যে কোনোভাবেই হোক আমাদের এই বাধাটা অতিক্রম করতে হবে৷”

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন রাখা হয় মন্ত্রীর কাছে৷ তিনি বলেন, ‘‘যখনই এ ধরণের ঘটনা ঘটে বা পুলিশের কাছে খবর পৌঁছায় তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেয়া হয়৷ নুসরাতের ঘটনাতো আপনারা দেখেছেন৷ এটার বিচারতো কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে৷”

ধর্ষণ ঠেকাতে সামাজিক সচেতনার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার কথাও জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক৷

এসএইচ-০৫/১০/১৯ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)