সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ভারত!

ইসরায়েলের কাছ থেকে ড্রোন আর থার্মাল ইমেজ প্রযুক্তি সংগ্রহ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)৷ যার মাধ্যমে মেঘালয় থেকে কুচবিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ধুবরি সীমান্তে নজরদারি জোরদার করবে বাহিনীটি৷

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেঘালয় থেকে কুচবিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ধুবরি সেক্টরে নজরদারি বাড়াতে ইসরায়েলের কাছ থেকে বেশ কিছু ড্রোন সংগ্রহ করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)৷ পাশাপাশি কেনা হয়েছে থার্মাল ইমেজ প্রযুক্তিও৷ রোববার ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে৷

ঠিক কতগুলো ড্রোন কিনেছে বিএসএফ সেই তথ্য দিতে পারেনি গণমাধ্যমটি৷ তবে প্রতিটি ড্রোনের দাম ৩৭ লাখ রূপি বলে জানিয়েছে তারা৷ ড্রোনগুলো দিনে কিংবা রাতে দুই কিলোমিটার দূরের ছবিও তুলতে পারে৷ মূলত আসামের ধুবরি সেক্টরে নদী তীরবর্তী সীমান্ত অঞ্চলে পাচার ঠেকানো ও নজরদারির জন্য বিএসএফ এগুলো ব্যবহার করবে৷

বিএসএফের গোহাটি সীমান্তের মহাপরিদর্শক পীযুষ মোরিয়া দ্য হিন্দুকে বলেন, সাধারণত রাতের বেলাতে সীমান্তে নজরদারির বাইরে থাকা কিছু জায়গা দিয়ে পাচারের ঘটনাগুলো ঘটে৷ ড্রোন মোতায়েনের কারণে এখন সেখানকার ছবি পাওয়া যাবে৷ সর্বোচ্চ দেড়শো মিটার উচ্চতা থেকে ড্রোনটি সার্বক্ষণিক ছবি পাঠাতে থাকবে৷

বিরতিহীনভাবে উড়বার জন্য ড্রোনগুলো বিশেষভাবে তৈরি৷ সাধারণ ড্রোন ৩০ মিনিট উড়ার পরই ব্যাটারি পরিবর্তনের জন্য নামিয়ে আনতে হয়৷ শক্তিশালী বাতাসে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে৷ কিন্তু বিএসএফের কেনা ড্রোনগুলোতে এই সমস্যা হবে না বলে জানান পিযুশ৷

ড্রোনের পাশাপাশি ইসরায়েলের কাছ থেকে থার্মাল ইমেজ সেন্সর প্রযুক্তিও কিনেছে বিএসএফ৷ যার মাধ্যমে মাটি কিংবা পানির নীচে মানুষ, প্রাণী অথবা অন্য কোন জন্তুর উপস্থিতি চিহ্নিত করা সম্ভব হবে৷ যেসব জায়গায় বিএসএফ সদস্যরা নৌযানের মাধ্যমেও পৌছাতে পারে না সেখানে এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো হবে বলে দ্য হিন্দুকে জানান পীযুষ৷

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পাঁচটি রাজ্যের চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে৷ আসামের সাথে ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্তের ১১৯ কিলোমিটারই নদীতীরবর্তী৷ তার মধ্যে ৬১ কিলোমিটার জুড়ে বইছে খরস্রোতা ব্রম্মপুত্র৷ এই সীমান্তে নজরদারিকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিএসএফ৷

এসএইচ-০৪/০৫/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : ডয়চে ভেলে)