ধান ক্রয়ে দুর্নীতি অনিয়ম ঠেকাতে অ্যাপ

দেশে ধান সংগ্রহ অভিযান নিয়ে অনিয়ম রোধে এবার বেশ কিছু জেলায় অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চালানোর পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য বিভাগ।

চলতি বছরের আমন ধান সংগ্রহ অভিযান ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছ গত ২০শে নভেম্বর থেকে, যা শেষ হবে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি।

এবারে ২৬ টাকা কেজি দরে ছয় লাখ টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করবে সরকার।

এছাড়া মিল থেকে সাড়ে তিন লাখ টন চাল কিনবে কেজি প্রতি ৩৬ টাকা দরে।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এ বছর কোন জেলা থেকে কত পরিমাণ ধান কেনা হবে তার একটি তালিকা করেছে কৃষি বিভাগ।

যদিও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলছেন, এখন মূলত কৃষকদের নাম নিবন্ধনের কার্যক্রম চলছে।

নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রির আবেদনের সুযোগ পাবেন কৃষকরা, বলছেন তিনি।

খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলছেন ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামে এই অ্যাপটি তৈরি করেছে কম্পিউটার কাউন্সিল।

এখন অ্যাপে ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজেদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন কৃষকরা।

এরপর যাদের নাম অ্যাপে চলে আসবে তারা ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবেন আবেদনের।

অর্থাৎ কৃষক তখন তার আবেদনে জানাবেন যে তিনি কোন জাতের ধান উৎপাদন করেছেন এবং কি পরিমাণ ধান তিনি বিক্রি করতে চান।

এসব তথ্য বিশ্লেষণের পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে লটারি করে চূড়ান্ত করা হবে যে কাদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।

একই সাথে ডিজিটালি জানিয়ে দেয়া হবে যে তিনি কোথায় ধান বিক্রি করবেন এবং সেখানেই তাকে মূল্য পরিশোধে একটি চেকের প্রিন্ট কপি দেয়া হবে যা তিনি ব্যাংকে দেখিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।

খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলছেন, “ফলে ধান ক্রয়ের সময় মধ্যসত্ত্বভোগী দালাল কিংবা কর্মকর্তাদের মধ্যেও যদি কোনো অসাধু ব্যক্তি থাকে তারা আর অনিয়মের সুযোগ পাবেনা”।

খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলছেন, তারা যে ১৬জেলায় অ্যাপটি এবার ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তা ও কৃষকদের বিষয়টি নিয়ে সচেতন করতে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

খাদ্য বিভাগের জেলা ও থানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবাকেন্দ্রগুলো সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে অ্যাপটি ব্যবহার সম্পর্কে।

মহাপরিচালক বলেন, “কারও কাছে ফোন না থাকলেও বেশ কয়েকটি জায়গায় গিয়ে তারা নাম নিবন্ধন ও আবেদন করতে পারবেন। আর নিবন্ধন একজনের জন্য একবারই চূড়ান্ত। ওই নিবন্ধন নাম্বার দিয়েই তিনি প্রতিবছর ধান বিক্রয়সহ বেশ কিছু কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন”।

১.গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটি যে কেউ ডাউনলোড করতে পারবেন।

২. এরপর এটি ব্যবহার করে কোনো ঝামেলা ছাড়াই কৃষক তার উৎপাদিত ধান ও চাল সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

৩. মিল মালিক ও কৃষক মোবাইলে ধান চালের চাহিদা, সরবরাহের তারিখ বার্তার মাধ্যমে জেনে যাবেন

৪. ধান বিক্রয়ের আবেদন ও আবেদনের অবস্থা দেখা যাবে

৫. কেউ হয়রানির শিকার হলে অভিযোগ করতে পারবেন

এসএইচ-০৪/২৮/১৯ (রাকিব হাসনাত, বিবিসি)