বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে চলা প্রতিবাদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফেসবুকে প্রতিবাদের ছবি পোস্ট করে বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ‘সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ অংশ নিয়েছেন। সে কারণে তাকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক অফিস এ সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করে।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে একাধিক সমাবেশ করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-বিরোধী সমাবেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী এক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তিনি সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং এ ধরনের কার্যকলাপ তার ভিসা শর্তের লঙ্ঘন।”

চিঠি হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তাকে ভারত ছাড়তে হবে বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিশ্ব ভারতীর এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিদেশি শিক্ষার্থীরা যদি বন্ধুদের সঙ্গে কোনো আন্দোলনে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ বা মন্তব্য করতে না পারে, তাহলে আমারা প্রশ্ন— আমরা কি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করছি?”

গত বুধবার ওই চিঠি হাতে পান ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। তিনি দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, “আমি কেন এমন শাস্তির মুখে পড়েছি বা আমি কী ভুল করেছি তা বুঝতে পারছি না। কৌতূহলবশত কয়েকটা ছবি পোস্ট করেছিলাম। কারণ, আমার অনেক বন্ধু প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু যখন আমি দেখলাম একটি নির্দিষ্ট দল এ নিয় ট্রল করছে, তখনই আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছি।”

“ও সিএএ-বিরোধী কোনো সমাবেশে অংশ নেয়নি। কিন্তু, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ছবি পোস্ট করেছিল। ওই পোস্টটি কয়েকজন ডানপন্থীদের নজরে পড়ে। তারা এটা নিয়ে ট্রল করে এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি করে”— বলেন আরেক শিক্ষার্থী।

এসএইচ-০৭/২৭/২০ (অনলাইন ডেস্ক,তথ্য সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার)