উন্নত চিকিৎসা ‘চান না’ খালেদা জিয়া!

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য করা জামিন আবেদন আবারও নাকচ হয়েছে৷

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ নিতে সম্মতি না দেওয়ায় ‘জামিনের পক্ষে নতুন কোনো কারণ না পেয়ে’ বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়৷

তবে খালেদা জিয়া যদি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ নিতে সম্মত হন তবে আদালত দ্রুত তাঁর উন্নত চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানায় ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷

একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে বোর্ড চাইলে নতুন কোনো বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে৷ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়৷

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত খালেদার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন জানিয়ে তাঁর আইনজীবীরা হাই কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন আবেদন করেছিলেন৷ গত ১২ ডিসেম্বর ওই আবেদন নাকচ করে দিয়ে আপিল বিভাগ খালেদার সম্মতি থাকলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে দ্রুত ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷

দুই মাসের মাথায় খালেদার আইনজীবীরা হাই কোর্টের কাছে নতুন করে তাঁর জামিন আবেদন করেন এবং পাশাপাশি তাঁর শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতি নির্দেশনা চান৷

ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের উপাচার্যকে খালেদার স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন৷

উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ খালেদার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেন৷

বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদনটি পড়ে শোনানো হয়৷ সেখানে বলা হয়, খালেদা জিয়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও প্রতিস্থাপনজনিত হাঁটুর ব্যথায় (অস্টিও-আর্থরাইটিস) ভুগছেন। অন্য সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকালেও অস্টিও-আর্থরাইটিসের ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ শুরুর বিষয়ে তিনি সম্মতি দেননি। এমনকি সেই চিকিৎসকার জন্য যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার, সেগুলোও করা যাচ্ছে না।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতেকে বলেন,বিএনপি চেয়ারপারসন কেন সম্মতি দেননি, সেটা জানতে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। সেজন্য সময়ের আবেদন করে তিনি জামিন প্রশ্নে আদেশের বিষয়টি রোববার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলে। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে বিচারক বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া কেন সম্মতি দেননি, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।”

জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, “মনে রাখতে হবে, তিনি একজন বন্দি, সাধারণ রোগীদের মত সুযোগ সুবিধা তিনি পাবেন না। জেল কোড এবং নিয়ম নীতি মেনেই তাঁকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এসএইচ-০৪/২৮/২০ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : ডয়চে ভেলে)