হিমাগারে আলুর মজুদের খোঁজ পেয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশন

৪২ টি জেলার হিমাগারে এখন কি পরিমান আলুর মজুদ আছে এ বিষয়ে জানতে পেরেছে প্রতিযোগিতা কমিশন। সংস্থাটি এরই মধ্যে এ বিষয়ে সরকাররের কাছে সুপারিশ করেছে। তারা বালেছে হিমাগারে এখন যে পরিমান আলু আছে তা বিজ আলু রেখে বাকি আলু আগামী দুই মাসের মধ্যে বাজারে ছেড়ে দিতে হবে। এটা করা হলে বাজারে আলুর দাম কমে যাবে। আর এর মধ্যেই বাজারে নতুন আলু এসে যাবে।

সম্প্রতি আলুর দাম কেজিতে দ্বিগুন হয়ে যায়। এর ফলে খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবুও কমেনি বাজারে আলুর দাম। এখনও প্রতি কেজি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে দেশের হিমাগারগুলোতে কী পরিমাণ আলু মজুত আছে, তা জানতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দেয় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। তবে বুধবার পর্যন্ত ৬৪ জেলার ৪২ টি জেলার থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন (সিনিয়র সচিব) মফিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যা তথ্য এসেছে তার ভিত্তিতে আমরা আমাদের সুপারিশ সরকারকে জানিয়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি হিমাগারে এখন যে আলু আছে বীজ আলু রেখে বাকি আলু দুই মাসের মধ্যে বাজারে ছেরে দিতে।

প্রসঙ্গত , ইতোমধ্যেই বাজারে নতুন আলু উঠেছে যা প্রতি কেজি ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।উল্লেখ্য, কমিশনের আইন পরিপন্থী মজুত বা কার্টেল করে থাকলে ব্যবস্থা নিতেই ডিসিদের কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ অনুযায়ী, কার্টেল অর্থ ‘কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিগোষ্ঠীর প্রকাশ্য বা প্রচ্ছন্ন চুক্তির মাধ্যমে কোনও পণ্য বা সেবার বাজারে এক।

এসএইচ-১০/১২/২০ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আমাদের সময়)