মোবাইল ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইসে অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। মোবাইল ফোনের বিকিরণের কারণে অন্ধত্বসহ চোখে ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে শিশুদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশও।
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে বাস্তবিক জগতের চেয়ে ভার্চুয়াল জগতের প্রতি আসক্তি বাড়ছে শিশুদের। ঘন্টার পর ঘন্টা এভাবে বুদ হয়ে থাকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইসে।
এক সময় রূপকথার গল্প শুনিয়ে শিশুদের খাওয়ানো কিংবা ঘুম পাড়াতো হতো। কিন্তু এখন মোবাইলে কার্টুন কিংবা গেমস দেখিয়ে।
শিশুরা বলেন, ‘খাওয়ার সময় দেখি, ঘুমানোর সময় দেখি। আমার দেখতে খুব ভালো লাগে তাই দেখি। আমার খাওয়ার সময় মোবাইল দেখতে ভালো লাগে, ঘুমানোর সময় মোবাইল দেখতে ভাল লাগে।’
এক অভিভাবক বলেন, ‘ওদের সকালটা শুরু হয় মোবাইল দিয়ে। আমি এটা কোন ভাবেই কন্ট্রোল করতে পারছি না।’
চট্টগ্রাম মেডিকেলে চোখের সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের ৩০ শতাংশ শিশু। অতিমাত্রায় মোবাইলের প্রতি আসক্তিতে মাথা ব্যথা ও পানি পড়াসহ চোখে দেখা দিচ্ছে নানা উপসর্গ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল থিসিস পার্টের এম. এস রেসিডেন্স ডা. অনিন্দাতা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে চোখের পাতা ফেলি, এই পাতা ফেলার মধ্যেও কিন্তু একটা উপকার হয়। এতে আমাদের চোখের উপরিভাগটা ভিজে থাকে এবং শুকনা থাকে না। অনেকক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের পাতা পড়ার এই হারটা কমে যায়।’
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকের চেয়ে ক্ষতিকর মোবাইল নির্ভরতার কারণে শিশুরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বাস্তবিক জগত থেকে।
চমেক শিশু চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ সহকারি অধ্যাপক ডা. উৎপল সেন বলেন, ‘খাওয়াটা সে সঠিকভাবে খাচ্ছে কিন্তু খাওয়া হজম হওয়ার জন্য যে পাচক রস টা দরকার সেটা অনেক কম হচ্ছে। ফলে বাচ্চাগুলো অপুষ্টিতে ভোগে।’
শিশুদের উপর ইউনিসেফের গবেষণা বলছে, দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর প্রতি তিনজনের একজন শিশু।
এসএইচ-১১/১৩/২০ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র : সময়)