১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর। এই দিনটিতে তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রথম এবং শেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী সে নির্বাচনের পর বিজয়ী শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে।
এর জের ধরে শুরু হওয়া তীব্র রাজনৈতিক সংকট শেষ পর্যন্ত গড়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে। যার পরিসমাপ্তি ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে।
পূর্ব পাকিস্তানে গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১৬৬৯ সালের মার্চ মাসে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন আইয়ুব খান।
এরপর সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খান দায়িত্ব গ্রহণ করে সামরিক শাসন জারি করেন।
তারপর ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
পাকিস্তান সরকারের তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের অন্যতম উপদেষ্টা জি.ডব্লিউ চৌধুরীর মতে একটি অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের আগ্রহের কোন ঘাটতি ছিল না। মি. চৌধুরী উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট চেয়েছিলেন ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া যেন মসৃণ হয়।
আওয়ামী লীগ নিয়ে গবেষণা করেছেন ভারতের জওয়াহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্যামলী ঘোষ। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের উপর গবেষণা করে তিনি পিএইডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তাঁর বই ‘দ্য আওয়ামী লীগ ১৯৪৯-১৯৭১’ প্রকাশিত হয় ১৯৯০ সালে।
ঘোষ লিখেছেন, ১৯৭০ সালের ৭ই জুন আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরু করে।
নির্বাচনী প্রচারাভিযানের ভাষণ-বক্তৃতাগুলোতে স্থানীয় ইস্যুগুলোর পাশাপাশি ছয়-দফা কর্মসূচীও তুলে ধরা হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে মিস্ ঘোষ লিখেছেন, ” আমরা যদি সময়ের ডাকে সাড়া দিতে ব্যর্থ হই তাহলে আগামী প্রজন্ম আমাদেরকে দায়ী করবে।”
ছয় দফা কর্মসূচী ছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান অবলম্বন। ১৯৬৬ সাল থেকেই আওয়ামী লীগ ছয়দফা কর্মসূচীকে তাদের প্রধান রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে তুলে ধরে।
জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাবার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ তখন জানিয়েছিলেন, জাতীয় পরিষদের ১৬২টি আসনের জন্য আবেদনপত্র পাওয়া গেছে ৩৫৯টি।
গবেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যে নিজেকে পূর্ব পাকিস্তানের একচ্ছত্র নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র রাস্তা।
নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কাউকে জনগণের প্রতিনিধি বলে মনে করেন না।
১৯৬৯ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডন গিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচনে না জেতার আগ পর্যন্ত তিনি নিজেকে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে ভাবতে পারেন না।
নির্বাচনের আগে শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রচারণায় ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই ‘সোনার বাংলা’ শ্লোগানটি পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই ‘সোনার বাংলা’ শ্লোগানের ভিত্তি ছিল ছয়দফা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ।
গবেষক শ্যামলী ঘোষের মতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় একটি পোস্টার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মনে দাগ কেটেছিল। এই শ্লোগান হচ্ছে, “সোনার বাংলা শ্মশান কেন?”
পশ্চিম পাকিস্তানীদের দ্বারা অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ কিভাবে বঞ্চিত হচ্ছে সেটি তুলে ধরা হয় এই পোস্টারের মাধ্যমে।
পুরো সত্তর সাল জুড়েই ছিল নির্বাচনী আমেজ ও তৎপরতা। যদিও চীনপন্থি কমিউনিস্টরা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়।
স্মৃতিচারণামূলক ‘শতাব্দী পেরিয়ে’ বইতে বামপন্থী রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনো লিখেছেন, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিব, আওয়ামী লীগ ও ছয়দফার পক্ষে যে জোয়ার উঠেছিল, তার সামনে দক্ষিনপন্থী দলগুলো দাঁড়াতেই পারছিল না।
রনোর বর্ণনায়, ” দক্ষিনপন্থী দলগুলো শেখ মুজিবকে ভারতের হিন্দুদের দালাল হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা কাজে আসেনি। জনমনে তখন ভারত নয়, পশ্চিম পাকিস্তান বিরোধিতাই প্রবলভাবে কাজ করেছিল।”
শুধু নির্বাচন নয়, তারও প্রায় চার বছর আগে থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ছয়দফা দাবী নিয়ে জনমত গঠন করতে থাকেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় ছয়দফার বিষয়টি মুখ্য হয়ে ওঠে।
প্রচারণার সময় বেশ কয়েকবার শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, এই নির্বাচন হবে ছয়দফার পক্ষে রেফারেন্ডাম বা গণভোট।
২০২০ সালের মার্চ মাসে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৯৭০ সালের নির্বাচন সম্পর্কে রেহমান সোবহান বলেন, সেটি ছিল এক ধরণের রেফারেন্ডাম।
সে নির্বাচনের সময় ছয়দফার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান ‘সিম্বোলিক ফিগার’ হয়ে উঠেছিলেন।
তবে পাকিস্তানের শাসকরা এই ছয় দফাকে মনে করতেন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদের ছদ্ম দলিল’।
নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের উপদেষ্টা ও মন্ত্রী জি. ডব্লিউ চৌধুরী প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিয়েছিলেন বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন সরাসরি শেখ মুজিবের সাথে কথা বলেন। শেখ মুজিব ছয়দফা দাবিকে সংশোধন করতে পারেন কি-না সে বিষয়ে জানার জন্য প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন মি. চৌধুরী।
“যদি মুজিব বিষয়টি মানতে না চায়, তাহলে একটি গণভোট আয়োজনের জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম। গণভোটের বিষয় হতো – বাঙালি মুসলমানরা অবিভক্ত পাকিস্তান চায় নাকি আলাদা হতে চায়?”
কিন্তু ইয়াহিয়া খান সেটি শোনেননি বলে মন্তব্য করেছেন মি. চৌধুরী।
শেখ মুজিব ছাড়াও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ভাসানী প্রথমে রাজী হলেও নভেম্বর মাসের শেষ দিকে এসে তিনি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান।
তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এখনো নানা বিতর্ক হয়। অনেকে মনে করেন, ১৯৭০ সালে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে মাওলানা ভাসানী ভুল করেছেন।
তবে তাঁর অনুসারীরা বলেন ভিন্ন কথা।
তাদের বক্তব্য হচ্ছে, ভাসানী যদি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকতেন তাহলে পূর্ব-পাকিস্তানে ভোট ভাগ হয়ে যেত এবং আওয়ামী লীগ হয়তো একচ্ছত্র আধিপত্য পেতো না।
মাওলানা ভাসানীর অনুসারী হায়দার আকবর খান রনো লিখেছেন, “আমার মনে হয়, ভাসানী মনে মনে চেয়েছিলেন শেখ মুজিবকে ওয়াকওভার দিতে, যাতে শেখ মুজিবুর এককভাবে বেরিয়ে আসেন। তাতে স্বাধীনতার প্রশ্নটি সহজ হতো বলে তিনি ভেবেছিলেন।”
নির্বাচনে মোট ২৪টি দল অংশ নিয়েছিল। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কা পায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের চরম প্রতিন্দ্বন্দি জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তান পিপলস পার্টির ছিল তলোয়ার প্রতীক। নির্বাচনে অংশ নেয়া অনান্য দলগুলো তেমন একটা জোরালো ছিল না।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে কোন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। ইয়াহিয়া খান সরকারের মন্ত্রীসভার কোন সদস্য এই নির্বাচনে অংশ নেবার অনুমতি ছিল না। জি. ডব্লিউ চৌধুরীর মতে সেই নির্বাচন সত্যিকার অর্থে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ অধীনে হয়েছিল।
জাতীয় পরিষদের সে নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে ছিল ১৬২ টি আসন এবং পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল ১৩৮টি আসন।
পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ সবগুলো আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। অন্য কোন রাজনৈতিক দল সবগুলো আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি।
পূর্ব পাকিস্তানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী দিয়েছিল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন)। তাদের প্রার্থী সংখ্যা ছিল ৯৩জন। এছাড়া পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি ৭৯টি আসনে এবং জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তান ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল।
গবেষক শ্যামলী ঘোষ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিশ্লেষণ করেছেন। তার পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে ১৬২টি আসনে আওয়ামী লীগ যাদের মনোনয়ন দিয়েছিল তাদের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ ছিল আইনজীবী। এছাড়া ব্যবসায়ী ছিল ১৯ শতাংশ এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিল ৬ শতাংশ।
জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তান পিপলস পার্টি পূর্ব পাকিস্তানে কোন প্রার্থী দেয়নি।
জি. ডব্লিউ চৌধুরীর বর্ণনায়, জুলফিকার আলী ভুট্টো পূর্ব পাকিস্তানে কোন প্রার্থী দেবার ‘সাহস’ করেনি।
অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানের ১৩৮টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছিল পাকিস্তান পিপলস পার্টি। কিন্তু তারা সবকটি আসনে প্রার্থী দেয়নি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থী সংখ্যা ছিল ১১৯ জন।
আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্তানে মাত্র আটজন প্রার্থী দিয়েছিল।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের এক মাস আগে ভোলাসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রবল এক সাইক্লোন আঘাত করে। সে ঝড়ের পরে পাকিস্তান সরকারের উদাসীনতা বাঙালিদের মনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সে ঝড়ের পরে নির্বাচনের ফলাফল কী হতে পারে সে সম্পর্কে আগাম ধারণা পেয়েছিল সবাই।
পূর্ব পাকিস্তানে ১৬২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬০টি আসনে জয়লাভ করে।
পূর্ব পাকিস্তানের বাকি দুটি আসনের মধ্যে যারা জয়লাভ করেছিলেন তাদের একজন হলেন নুরুল আমিন এবং অপরজন চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়।
অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে ১৩৮টি আসনের মধ্যে ৮১টি আসনে জয়লাভ করে জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তান পিপলস পার্টি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎকালীন জনসংযোগ কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিক তার স্মৃতিচারণামূলক ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইতে লিখেছেন, ভোট গ্রহণের আগেই আওয়ামী লীগ কার্যত নির্বাচনে জিতে গিয়েছে। ৭ই ডিসেম্বরের নির্বাচন ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
সে নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টো একচ্ছত্র নেতা হয়ে উঠেন।
এই নির্বাচনের ফলাফল নির্দেশ করে পাকিস্তানের দুটি অংশের জনগণের মধ্যে চিন্তাধারার পার্থক্য ফুটে উঠে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করার পর আবার নতুন করে সংকট শুরু হয়।
জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজেকে পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা হিসেবে দাবি করেন।
অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তানের নেতা হয়ে ওঠেন শেখ মুজিবুর রহমান।
নির্বাচনের সময় সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে একটি প্রদেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানকে চারটি প্রদেশে ভাগ করা হয়।
ভুট্টো প্রশ্ন তোলেন, একটি প্রদেশে জয়ী হয়ে কিভাবে পুরো পাকিস্তানের শাসনভার শেখ মুজিবের হাতে তুলে দেয়া যায়?
ভুট্টোর এই অবস্থানের কারণে শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।
শেখ মুজিবকে সরকার গঠনে আহ্বান করার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।
এর প্রতিবাদে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।
এর পরিণতিতে ২৫ শে মার্চ রাতে গণহত্যা চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং শুরু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ।
এসএইচ-০৫/০৭/২০ (আকবর হোসেন, বিবিসি)