হিসেব কষে চলতে হচ্ছে চাকরিজীবীদের!

একটি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করেন আবদুস সবুর, ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গুলশানের অফিসে যেতে তাকে দুইবার রিকশা এবং দুইবার বাস বদল করতে হয়। এই যাতায়াতে তার প্রতিদিন যে খরচ হতো এখন তারচেয়ে ৫০-৬০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।

আবার অফিসের কাজে এদিক সেদিক যেতে তিনি রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নিতেন বা অ্যাপসভিত্তিক পরিবহণ সেবা নিতেন। সেখানেও গড়পড়তা দিনে ২০০-৩০০ টাকা বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বাড়তি খরচের লাগাম টানতে তিনি এখন অফিস যতটুকু পারেন হেঁটেই কাজ সারার চেষ্টা করছেন।

কারণ এই বাড়তি ভাড়ার টাকা গুনতে গিয়ে তাকে সংসারের অন্যান্য ব্যয়ে কাটছাঁট করতে হচ্ছে। গেলো কয়েক মাসে তার জীবনযাপন ও সংসার চালানোর ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেলেও তার বেতন কিন্তু বাড়েনি।

সবুর বলছিলেন- “বাসওয়ালা চাইলেই ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে, সবজি বিক্রেতা চাইলেই বেশি দাম রাখতে পারছে, আমি তো আর অফিসে গিয়ে ঘোষণা দিতে পারছি না কাল থেকে আমাকে বেশি বেতন দিতে হবে। ফলে আমার জীবনযাত্রার মান সীমিত করে আনতে হচ্ছে। আমি চাইলেও আমার মতো করে জীবন ধারণ করতে পারছি না, এখানে আমাকে সমন্বয় করতে হচ্ছে”।

সবুরের স্ত্রী রওশন আরা সেতু পেশায় এখন শিক্ষক। তিনিও জানান, আগে সংসার খরচ থেকে বাঁচিয়ে যে টাকা সঞ্চয় করতেন এখন তিনি সেটা আর করতে পারছেন না। উল্টো বাজার করতে গেলে তিনি হেঁটে যান যেন রিকশা-ভাড়া বাঁচিয়ে বাড়তি একটা সবজি কিনতে পারেন।

তিনি বলেন- আমি নিজেকে কষ্ট দিয়ে হলেও টিকে থাকার চেষ্টা করছি।

হঠাৎ পরিবহণ ব্যয় বাড়ায় অনেকটা হিসেব কষেই চলতে হচ্ছে এসব মধ্যবিত্ত চাকরীজীবীদের। কারণ পরিবহণ ব্যয়ের পাশাপাশি জীবন ধারণের অন্যান্য ব্যয়গুলোও বেড়ে গেছে।

 এসএইচ-০১/১৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : বিবিসি)