বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাল রফতানিকারী দেশ ভারত। দেশটিতে এবার বন্যা ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি উৎপাদন। এছাড়া এল নিনোর প্রভাবে খরা ও অনাবৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবছে ভারত। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এমন তথ্য দিয়েছে।
প্রতিবেশী ভারতে চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যপণ্য মজুত রয়েছে। ধানেরও বাম্পার ফলন হয়েছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ভারতের চাল রফতানি বন্ধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে মিলার ও বড় উৎপাদক পর্যায়ে সরকারি নজররদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, খাদ্যপণ্যের মূল্য নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে ভারত বেশিরভাগ প্রজাতির চাল রফতানি বন্ধ করার কথা ভাবছে। এতে বিশ্বখাদ্য বাজারে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ব্লুমবার্গ বলছে, ভারত এখন নন-বাসমতি চাল রফতানি বন্ধে আলোচনা করছে। কারণ দেশটিতে খাদ্যপণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। কর্তৃপক্ষ চাইছে না যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাক। সে কারণে এমন পদক্ষেপ নেয়ার ভাবনা তাদের মাথায়।
তবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ভারতের ৮০ শতাংশ চাল রফতানিতে প্রভাব পড়বে। এতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম কমলেও বিশ্ববাজারে উচ্চমূল্য দেখা দেবে।
বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার প্রধান খাদ্য ভাত। আর মোট বৈশ্বিক চাল সরবরাহের ৯০ শতাংশেরই ভোক্তা এশিয়ার মানুষ। ব্লুমবার্গের খবর বলছে, এল নিনো ফিরে আসার কারণে ফসলের ক্ষতি হবে, সেই আশঙ্কায় খাদ্যপণ্যের মূল্য গত দুই বছরের চেয়ে হবে আরও ঊর্ধ্বমুখী।
খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক চাল বাণিজ্যের ৪০ শতাংশই ভারতের। তারা এবার কিছু প্রজাতির চাল রফতানিতে লাগাম টানতে চাইছে। গত বছর, তারা ভাঙা চাল রফতানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। এছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর গম ও বাদামি চালের চালানের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল দিল্লি।
তখন মানুষকে চড়াদামে গম ও ভুট্টা কিনতে হয়েছিল। দেশটি এরইমধ্যে গম ও চিনি রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। তবে এই চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার ভাবনা নিয়ে ভারতের খাদ্য, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য পায়নি ব্লুমবার্গ।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিন, চীন, সেনেগাল, আইভরি কোস্ট, টোগোসহ শতাধিকের বেশি দেশে চাল রফতানি করে ভারত।
এদিকে সম্ভাব্য নতুন নিষেধাজ্ঞার খবরে ভারতের চালকল মালিকদের শেয়ারের মূল্যে ধস নেমেছে। দেশটির সবচেয়ে বড় চাল কোম্পানি কেআরবিএল লিমিটেডের শেয়ারমূল্য ৩ দশমিক ৭ শতাংশ পড়ে গেছে। এছাড়া চামান লাল সেতাই রফতানি লিমিটেডের ১ দশমিক ৪ শতাংশ, কোহিনূর ফুডস লিমিটেডের ২ দশমিক ৯ শতাংশ ও এল টি ফুডস লিমিটেডের শেয়ারের মূল্য ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে।
আবহাওয়ার বৈরী অবস্থার শঙ্কায় চলতি বছরে ভারত, চীন, ফিলিপিন্সের মতো আমদানিকারক দেশগুলো আগ্রাসীভাবে চাল মজুত করে রেখেছে। বিশ্ব আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুসারে, গেল সাত বছরের মধ্যে এই প্রথম প্রশান্ত মহাসাগরীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এল নিনোর প্রভাব শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এল নিনোর জলবায়ু পরিস্থিতি শুরু হয়ে গেছে। এতে আবহাওয়া ও তাপমাত্রা চরম রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এল নিনোর প্রভাবে বিশ্বের অনেক জায়গায় খরা ও অনাবৃষ্টিতে ফসল উৎপাদন ব্যহত হতে পারে। যা খাদ্য বাজারকে আরও অস্থির করে তুলবে। চাল উৎপাদনকারী অনেক দেশের জন্য এই আবহাওয়াকে হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এরপর ভারত যদি চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাতে বিশ্ববাজারে নতুন করে হতাশা তৈরি হবে।
গেল জুনে ভারতে ভোক্তামূল্য বেড়ে গেছে। এমনিতেই দেশটিতে খাবারের দাম অনেক বেশি। সম্প্রতি টমেটোসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের তা আকাশছোঁয়া দামে কিনতে হচ্ছে। ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চলতি বছরে সেখানে চালের খুচরামূল্য ১৫ শতাংশ বেড়েছে। আর দেশজুড়ে গড় দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ।
এই মুহূর্তে দেশে খাদ্যপণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তবে চাল রফতানিতে প্রতিবেশী দেশের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে সীমিত প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।
ভারত যদি চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়বে কি না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত দু-তিন বছরে চাল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। এ মুহূর্তে আমাদের তেমন কোনো ঘাটতি নেই।
‘রফতানি নিষেধাজ্ঞা ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। দেশটির বাজারে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে গেলে তারা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, চাল রফতানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা দিলে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। কিন্তু এটিকে পুঁজি করে আমাদের অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারেন। তারা এমন সুযোগ খোঁজেন। এতে বাংলাদেশের চালের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
মাহফুজ কবীর বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলোকে একটু সতর্ক থাকা উচিত, যাতে এই জায়গায় অহেতুক অস্থিরতা তৈরি না হয়। কারণ দেশের বাজারে যথেষ্ট চালের সরবরাহ রয়েছে, উৎপাদনও স্বাভাবিক। সুতরাং এ অবস্থায় অস্থিরতা না হওয়াই স্বাভাবিক।
‘ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে প্রবল বন্যা হচ্ছে। যে কারণে ভারতে মাসখানেকের জন্য উৎপাদন স্বাভাবিক না-ও থাকতে পারে। মানুষের প্রয়োজন বেড়ে যাবে। এসব কিছু মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে, খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে; কারণ বাংলাদেশের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো এ সময়েই চলে,’ বলেন এ অর্থনীতিবিদ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশেও বন্যার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ সময়ে ত্রাণ কর্মসূচি নেয়ার দরকার পড়বে। তাই বাফার স্টকের জন্য ভারতের পাশাপাশি অন্য জায়গাগুলো খুঁজতে হবে। কারণ ভারত থেকে এই মুহূর্তে হয়তো বেশি আমদানি করতে পারব না। কিন্তু আমাদের অন্য যে উৎসগুলো আছে, বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, চীন ও মিয়ানমার হতে পারে। এসব বিকল্প উপায়গুলো আমাদের প্রস্তুত রাখা দরকার।
ভারত চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাতে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন।
তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ভারত এখনও চাল রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে ভাবছে। যখন নিষেধাজ্ঞা দেবে, তখন এটিকে আমলে নিতে হবে। আর নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাতে সমস্যা নেই।
‘এ বছর আমাদের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যথেষ্ট উৎপাদন হয়েছে। সরকারি সংগ্রহ এমন হয়েছে যে গোডাউন ভরে গেছে। কাজেই যদি বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তাহলে খাদ্য সংকট হওয়ার কথা না,’ বলেন তিনি।
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের তেমন কিছু হওয়ার কথা না। আমাদের খাবার মজুদ যথেষ্ট। উৎপাদনও ভালো। এখন প্রার্থনা করছি, এবার যাতে আমন উৎপাদন ভালো হয়।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, বুধবার পর্যন্ত দেশে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৭ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে। ধান মজুত আছে ১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। গম আছে দুই লাখ ৮২ হাজার ৩০৯ মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে ১৯ লাখ ১ হাজার ২৩১ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের চাল আমদানি লাগবে না। কাজেই তারা নিষেধাজ্ঞা দিলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। আমাদের যথেষ্ট মজুত আছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিশ্বে চাল রফতানিকারক দেশ তো খুব বেশি নেই। বড় রফতানিকারকদের মধ্যে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম রয়েছে। মিয়ানমার ও পাকিস্তানও কিছুটা রফতানি করে। সেই বিবেচনায় ভারতের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে সামগ্রিকভাবে চালের দাম বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশে এর প্রভাব কতটা পড়বে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে বৈশ্বিক চালের উৎপাদন পরিস্থিতির ওপর তা নির্ভর করবে। একই সঙ্গে চালের বিকল্প হিসেবে যেহেতু গম ব্যবহৃত হয়, সেহেতু গমের সহজলভ্যতাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। তবে এটা ঠিক, বৈশ্বিক পর্যায়ে যেহেতু চালের দাম বাড়তে পারে, যদি সত্যি সত্যি ভারত চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তার প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের চালের বাজারেও পড়তে পারে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
এই গবেষক আরও বলেন, সাধারণত আমরা চালের আমদানিটা সমপরিমাণ করি না। আমাদের দেশে যে বছরগুলোতে চালের উৎপাদন ভালো হয়, সে বছর আমদানি কম হয়। আবার কখনও কখনও বন্যা-খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদন ব্যহত হলে আমাদের আমদানি করতে হয়। আবার এই মুহূর্তে যেহেতু গমের সরবরাহ কম, তাই বিশ্ব পর্যায়ে এটির দাম বেশি।
‘সেদিক থেকে চালের ওপরও মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে। সুতরাং নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়াটি কেমন হবে, সেটি নির্ভর করছে বৈশ্বিক পর্যায়ে চালের সরবরাহ পরিস্থিতি কেমন হবে, পাশাপাশি আমাদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে তার ওপর। তবে যে কোনো বিচারেই হোক, এক ধরনের প্রতিক্রিয়া চালের বাজারের ওপরে পড়ার শঙ্কা রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এ অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে চেষ্টা করতে হবে যাতে উৎপাদন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়। যেমন গ্যাস সরবরাহ সীমিত থাকার কারণে বর্তমানে দেশে সারের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেহেতু আমদানি করে বাজারে সারের সরবরাহ অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
সুতরাং প্রাকৃতিক কারণ ছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কিংবা মানবসৃষ্ট বা অন্য কোনো বাজার ব্যবস্থাপনাগত কারণে চালের উৎপাদন ব্যাহত যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে কারসাজি হতে পারে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতিটি পণ্যের একেক ধরনের গুরুত্ব রয়েছে। মার্কেট সেনসিটিভির কাঠামোও ভিন্ন। এদিক থেকে আমাদের যে অভাবটা রয়েছে, সেটা হচ্ছে পুরো সাপ্লাই চেইন (সরবরাহ ধারা) সুসংগঠিত না, আর মার্কেট সম্পর্কিত তথ্যও সরকারের কাছে থাকে না।
‘সরকারি নজরদারি সংস্থাগুলোর কাছেও পর্যাপ্ত তথ্য থাকে না। কে কত মজুত করছে, বাজারে কী পরিমাণ দাম বাড়ছে, কে কী দামে কিনছেন, সেটা পাইকারি পর্যায়ে কত, আড়ত পর্যায়ে কত, ব্যাপারী পর্যায়ে কত, সেই সব তথ্য থাকে না। এ কারণে সরকারের পক্ষেও পর্যাপ্ত নজরদারির ঘাটতি রয়েছে,’ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এটা ঠিক যে সরকারি নজরদারি যতটা আমরা খুচরা পর্যায়ে দেখি, ততটা উৎপাদন ও মিলার পর্যায়ে কম দেখি। এ রকম পরিস্থিতির বিচারে সরকারের উচিত মিলার পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানো। এছাড়া বড় বড় ধান উৎপানদকারী পর্যায়েও নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদনও অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে সার-বীজ এগুলোর সরবরাহের ব্যাঘাত না হয়, সেটিও নিশ্চিত রাখতে হবে।
এসএইচ-০৯/১৬/২৩ (অনলাইন ডেস্ক, সময়)