বাংলাদেশের বড় তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে ‘পূর্বশর্ত ছাড়া’ সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
সোমবার ওই চিঠির তথ্যটি প্রকাশ পাওয়ার পর সংলাপের সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক মহল থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানানো হলেও সেরকম সম্ভাবনা খুব কম। যুক্তরাষ্ট্রের চিঠির পরেও সেই পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হবে বলে তাদের মনে হয় না।
এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার নির্বাচনী তফসিল নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ওই বৈঠকের পরেই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানালেও সংলাপে বসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো পরস্পরবিরোধী অবস্থানেই রয়েছে।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ বলছে, কোন দল সংলাপে বসার আগ্রহ দেখালে তা বিবেচনা করে দেখা হবে। আর বিএনপি বলছে, সংলাপে বসতে বাধা নেই, তবে তার জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে সরকারকে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো চিঠি এরইমধ্যে হস্তান্তর করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি এরইমধ্যে চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর চিঠিতে কী আছে তা, আনুষ্ঠানিক সেটি প্রকাশ করা না হলেও মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়, দেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানাতে তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এর জন্য সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করে সংযমের আহ্বান জানানো হয়।
দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এক দলের চেয়ে অন্য দলকে প্রাধান্য দেয় না। কোন ধরণের পূর্বশর্ত ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে সংলাপে বসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। একই সাথে যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে সমানভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে যুক্তরাষ্ট্র।
সংলাপের বসার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত পরস্পর বিরোধী অবস্থানেই রয়েছে দুই দল। বিএনপি বলে আসছে, তাদের সরকারের পদত্যাগের দাবি মানা না হলে কোন ধরনের আলোচনায় বসবে না তারা। আর আওয়ামী লীগ বলছে, কোন ধরনের শর্তের ভিত্তিতে সংলাপে বসতে আগ্রহী নয় দলটি।
ডোনাল্ড লু এর চিঠি এবং সংলাপের বিষয়ে এখনই সরাসরি কোন মন্তব্য করতে চাননি বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন, সেটা দলীয়ভাবেই আসবে।
তবে দেশের বর্তমান সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী করছেন দলটির নেতারা। একই সাথে এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে সংলাপের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ”বর্তমানে দেশে সাংঘর্ষিক একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে, সরকার কোন ভ্ন্নিমত সহ্য করতে পারছে না। আর তারই ফলশ্রুতিতে বর্তমানে মুখোমুখি রাজনীতির সৃষ্টি হয়েছে।”
এই রাজনৈতিক মতবিরোধ থেকে বের হয়ে আসতে হলে সংলাপের মাধ্যমেই হতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে সংলাপের সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলেও সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
খান বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, কোন দেশ যখন একটা জাতীয় সমস্যায় উপনীত হয়, সেখানে সরকার নিজেই উপযাজক হয়ে বিরোধীদলকে একই টেবিলে ডেকে নিয়ে আসে এবং তারা কথা বলে সেই জাতীয় সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করে। দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে আমরা সেই পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত দেখিনি।”
ড. মঈন খান বলেন, “বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীকে জেলের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে যদি কেউ বলে যে আমরা সংলাপ করবো, সেভাবে তো সংলাপ হয় না। একটি মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।”
এর আগে সংলাপ প্রশ্নে বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, নির্দলীয় সরকার প্রশ্নে আলোচনা হলে সেই সংলাপের কোন অর্থ নেই তাদের কাছে। কারণ তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠূ নির্বাচন হবে না।
সেই সঙ্গে সংলাপের বিশ্বাসযোগ্যতারও বিষয় রয়েছে বলে নেতারা বলছেন।
“আমি মুখে একটা কথা বলে সংলাপ সমাপ্ত করলাম, তারপর সংলাপের পরে গিয়ে আমার সেই কথাগুলি আমি সম্মানের সঙ্গে রক্ষা করলাম না, বরং আমার কথাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আমি যা খুশি তাই করলাম, তাহলেও কিন্তু সেই সংলাপ অর্থবহ হবে না,” বলেন বলেন মঈন খান।
এদিকে নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে জানিয়েছে, তফসিলের বিষয়ে বুধবার আলোচনায় বসবে তারা। একই দিনে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ড. মঈন খান বলেন, ”এই মুহূর্তে সরকার যদি তড়িঘড়ি করে একদলীয় নির্বাচনের ইচ্ছায় একতরফা নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণা করে তাহলে তা যে শুধু সংলাপের সম্ভাবনাকে দূরীভূত করবে তাই নয়, বরঞ্চ দেশের সার্বিক রাজনীতির পরিবেশকেও আরও অনেক বেশী উত্তপ্ত করে তুলবে।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মাধ্যমে ডোনাল্ড লু এর চিঠি পাওয়ার কথা এ পর্যন্ত বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ চিঠি পেয়েছে কিনা সেটি মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ সংলাপের বিষয়ে বলেন, ”এখনো কোন দল সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। কেউ যদি আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে তাদের সাথে কথা বলা যাবে কিনা সেটি বিবেচনা করা হবে।”
আলম বলেন, এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিঃশর্ত সংলাপে বসার বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তখন কোন রাজনৈতিক দল সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “তখন তো আমরাই বলেছিলাম নিঃশর্তভাবে বসার জন্য। তখন তো অনেকেই শর্ত জুড়ে দিয়ে(বলেছে) শর্তসাপেক্ষে বসতে পারে। তাদের শর্ত কি? আগে পদত্যাগ করতে হবে। তো আওয়ামী লীগের কি এতো ঠেকা পড়ছে নাকি যে পদত্যাগ করে কারো সাথে কথা বলতে হবে? এখন কে কথা বলতে চাচ্ছে?”
“এখন তফসিল ঘোষণা হবে কাল পরশু। এখন কেউ কথা বলতে চাচ্ছে, এরকম কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।”
ডোনাল্ড লু এর চিঠিতে সংলাপের আহ্বানের বিষয়ে তিনি বলেন, আহ্বান জানানো হলেও কেউ সংলাপে বসতে চেয়েছে কিনা সে বিষয়ে তো কিছু বলা হয়নি।
জাতীয় পার্টির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কথা বলতে চাইলে বা আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের সাথে আলোচনায় বাধা নেই।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “যদি অন্য কোন দল কথা বলতে চাইলে তখন সেই দলের সাথে কথা বলা যাবে কি যাবে না তখন বিবেচনা করা যেতে পারে।”
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কাছ থেকে চিঠি গ্রহণের পর জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা সে বিষয়ে এখনো কোন ঘোষণা দলের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে না।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “আমরা এখনো অপেক্ষা করছি সরকার একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যে পরিবেশে মানুষ ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।”
সংলাপে বসতে তারা আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আমার দলের পক্ষ থেকে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম,… আপনি সবাইকে এক টেবিলে ডাকেন। এখনো সময় আছে সরকার এক টেবিলে ডাকতে পারেন, অথবা না ডেকেও একটা পরিবেশ করতে পারেন যাতে মোটামুটি একটা আস্থা আসবে সবার।”
“যদি সবাইকে ডাকে এক টেবিলে তাহলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান একটা রূপরেখা দিবেন। কিন্তু ডাকে নাই, সেই রূপরেখা আমরা দিচ্ছি না। তবে আমরা ফেয়ার ইলেকশনের একটা পরিস্থিতি আমরা চাই,” বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানালেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলই যেখানে তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে শর্তহীন সংলাপের সম্ভাবনাকে ‘অতি প্রত্যাশা।’
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা বিএনপির সাথে কোন ধরণের সংলাপে যাবে না।”
তিনি মনে করেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর চিঠির উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন তথা রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যে যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি সেটা আবারো বুঝিয়ে দেয়া।
যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে ভিসা নীতি প্রয়োগ করার বিষয়টি আবারো চিঠিতে উল্লেখ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে শুধু ভিসা নীতির জন্যই সরকার বা আওয়ামী লীগ তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না বলেও মনে করেন মি. হোসেন।
তার মতে, প্রতিবেশী দেশ ভারত এরইমধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে সেটিকে ভারত সমর্থন করে, সেই আশ্বাসও পাওয়া গেছে। ফলে এমন অবস্থায় সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে অবস্থানের পরিবর্তন করবে না বলেই তিনি মনে করেন।
“আমার মনে হয় না এটা হালে পানি পাবে। কারণ ভারতের সমর্থনটাই তারা(আওয়ামী লীগ) বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর সেটা যেহেতু ভারত স্পষ্ট করেছে, কাজেই তারা মনে করবে না যে, সংলাপের কোন স্কোপ আছে বা প্রয়োজন আছে,” বলছেন হোসেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষমতাসীন দল এরইমধ্যে বলে দিয়েছে যে তারা কোন ধরনের সংলাপ চায় না। কাজেই বর্তমান পরিস্থিতিতে সংলাপ হবে বলে তিনি মনে করেন না । কারণ দুই দলই রাজি না হলে সংলাপ সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সংলাপটা আসলে আমেরিকানদের একটা চাপ প্রয়োগের কৌশল। তারা সংলাপের কথা বলছে। আবার নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নীতি কার্যকরের কথাও বলছে।
আহমদ মনে করেন, ”এটা আসলে সরকারি দলের সাথে সাথে বিরোধী দলের উপরও চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও তা প্রতিহত করতে গেলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।”
“তাই সংলাপ হবে কিনা সেটা নির্ভর করবে সরকার আসলে কতটুকু চাপে আছে তার উপর।”
তিনি বলেন, যে তিনটি বড় দলকে চিঠি দেয়া হয়েছে তার মধ্যে জাতীয় পার্টি দুই দলের জন্যই বাফার জোন।
“আওয়ামী লীগের সাথে যদি জাতীয় পার্টির একটি ডিল হয়ে যায়, আওয়ামী লীগ যদি তাদের নির্বাচনে নিয়ে আসতে পারে, তখন আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপির প্রয়োজনটা ফুরিয়ে যেতে পারে,” তিনি বলছেন।
দুই দলের মধ্যে সংলাপ হতে হলে সেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নির্বাচন কমিশনের এগিয়ে আসার সুযোগ থাকলেও সেটি হয়নি। তাই সংলাপ বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশে অতীতে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কয়েক দফা সংলাপ হয়েছিল। যদিও সেসব সংলাপে কার্যকর কোন ফলাফল হয়নি।
এর আগে ২০০৬ সালে তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের সংলাপ হয়েছিল। সেই সংলাপও শেষ হয়েছিল ব্যর্থতার মধ্য দিয়েছে।
এসএইচ-১২/১৪/২৩ (মুন্নী আক্তার,বিবিসি)