নওগাঁয় ছেলেকে গ্রেফতার করায় পুলিশকে কোপালেন মা

নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে স্বজনের হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কালীকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সোহেল রানা (২৫), তার মা সূর্যভান (৪৫), বোন নাজমা খাতুন (২০) ও পাখি (১৮)।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, যৌতুকের মামলায় উপজেলার মদনডাঙ্গা গ্রামের সোহেল রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বুধবার সকালে আসামি সোহেল রানাকে গ্রেফতারের জন্য কনস্টেবল আজিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে মদনডাঙ্গা গ্রামে যান পুলিশের এএসআই মনির উদ্দিন।

পরে বাড়ি থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় মা ও দুই বোন সোহলেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছেলেকে ছিনিয়ে নিতে না পেরে সোহেলের মা ধারালো বটি দিয়ে এএসআই মনির উদ্দিনের ওপর হামলা চালান।

সোহেলের মায়ের বটির কোপে এএসআই মনির উদ্দিনের ডান বাহুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। সেই সঙ্গে মনিরকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা কনস্টেবল আজিজুল হকও আহত হন। এ সময় মনির উদ্দিনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। সংবাদ পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে আহত পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুইজনকে উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আত্রাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, যৌতুকের মামলার আসামি ছিলেন সোহেল রানা। তাকে গ্রেফতার করা হলে তার স্বজনরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালান।

পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। আহত এএসআইসহ দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় সোহেলের স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

বিএ-১৬/৩০-০১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)