এবার নওগাঁয় ডিসি-ইউএনওর নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি

নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হারুন অর রশিদের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে উন্নয়ন প্রকল্প দেয়ার নামে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানার পর সোমবার বেলা ১১টায় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সর্তকতামূলক স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ডিসি মো. হারুন অর রশিদে লিখেছেন, জেলা প্রশাসক, নওগাঁর অফিসিয়াল নম্বর ক্লোন করে অথবা পার্সোনাল নম্বর পরিচয়ে অন্য কোনো নম্বর থেকে জনপ্রতিনিধিদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার নামে ফোন দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এরকম ফোনে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

স্ট্যাটাসে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, জেলা প্রশাসক, নওগাঁ কখনও এরূপ ফোন দেননি এবং ভবিষ্যতে ও দেবেন না। অধিকন্তু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিশেষ বরাদ্দের টিআর, কাবিখা বন্ধ করে দিয়েছে। কাজেই বিভ্রান্ত না হয়ে এমন কোনো ফোন পেলে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা থানায় অবহিত করতে অনুরোধ করা হলো।

পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গাফ্ফার বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিসি স্যারের নম্বর থেকে আমাকে ফোন করা হয়। স্যারের নম্বরটি আগে থেকেই আমার ফোনে সেভ করা ছিল। কল রিসিভের পর ভয়েসটা কেমন যেন মনে হচ্ছিল। সালাম দেয়ার পর অপর প্রান্ত থেকে তিনি নিজেকে ডিসি পরিচয় দেন। ওই নম্বর থেকে ৩০ সেকেন্ডের মতো কথা হয়।

এরপর অন্য একটি ফোন নম্বর থেকে তিনি ফোন দেবেন বলে কেটে দেন। ইতোপূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমাকে জানিয়েছিলেন সরকারি নম্বর ক্লোন করে বিভিন্নভাবে ফোন করা হচ্ছে। সে ব্যাপারে সর্তক থাকবেন। বিষয়টি আমার মনেছিল।

তিনি আরও বলেন, এরপর অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন করে এলাকার কোথায় কী সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে একটি তালিকা দিতে বলা হয়। আরও বলা হয় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কিছু খরচ হয় তা দিতে হবে। আমি সাক্ষাতে দেখা করে কথা বলতে চাইলে ফোন কেটে দেয়া হয়। এরপর থেকেই নম্বরটি বন্ধ আছে।

অপরদিকে, রোববার নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সরকারি ফোন নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানশিক্ষককে ফোন করে ল্যাপটপ দেয়ার নামে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলা হয়।

এ ব্যাপারে ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনার পর সবাইকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে এবং থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল তা বন্ধ আছে।

বিএ-০৭/০২-০৯ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)