কমছে চালের দাম

নওগাঁয় বাজারে চাল ছাড়তে শুরু করেছেন মিলাররা। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের চালের দর বস্তাপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে।

আগস্টের প্রথম থেকে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত নানা কারণ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা নওগাঁর মোকামে প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। কিন্তু সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়ার পর প্রতি কেজিতে ২ থেকে আড়াই টাকা দাম কমেছে।

সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে সেলিনার সংসারে প্রতিদিন আড়াই কেজি চাল দরকার। গেল মাসজুড়ে দফায় দফায় বাড়তি চালের দরে সেলিনার মতো অনেকেরই সংসারে গরমিল হয়ে যায় হিসাব। মোটা চাল ৪৮ থেকে বেড়ে ৫৬ আর চিকন ৬৫ থেকে ৭২ টাকা কেজিতে ঠেকেছে।

তিনি বলেন, ‘মাত্র একজনের আয় দিয়ে সাতজনের খাবার জোগাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এভাবে যদি চালের দাম বাড়ে, তরকারির দাম বাড়ে, তাহলে আমরা কী করে খাব?’

আরেক ক্রেতা বলেন, ‘দাম যেভাবে এক লাফে বেশি বেড়ে গেছে, সে তুলনায় ১-২ টাকা কমায় আমাদের তেমন উপকার হচ্ছে না। আরও কমলে ভালো হয়।’

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘মিলাররা বেশি পরিমাণে মজুত করা চাল বাজারে ছাড়ছেন। এ জন্য চালের দাম কমছে।’ তারা আরও বলেন, ‘আগে যে চাল বস্তাপ্রতি ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে কিনেছি, সেই চাল এখন ৩ হাজার ৩০০ টাকা দরে কিনছি। আগে মিলাররা বাজারে চাল ছাড়ছিলেন না। কিন্তু বর্তমানে তারা চাল সরবরাহ করছেন। আমাদের বেচাকেনাও ভালো।’

তবে নওগাঁর মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ভারত থেকে চাল আমদানির ঘোষণার প্রভাব পড়েছে।

উল্লেখ্য, নওগাঁয় ছোট-বড় ৮৫০টি হাসকিং ও ৫৬টি অটো রাইস মিল রয়েছে। প্রতিদিন এসব মিল থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়।

এসএইচ-১২/০২/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)