তাবলিগের দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত ২ শতাধিক : ইজতেমা বন্ধ

টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা বেড়ে দুই শতাধিক ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ইসমাইল হোসেন (৭০) নামে ওই মুসল্লী সা’দ অনুসারী বলে জানা গেছে। তিনি মুন্সিগঞ্জের নীলপাড়া এলাকার খলিল মন্ডলের ছেলে। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক একথা জানিয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর রাত থেকেই বিশ্ব ইজতেমা মাঠে মাওলানা জুবায়ের সমর্থিত তাবলীগ জামাতের মুসল্লিরা অবস্থান করছিলেন। ফজরের নামাজের আগে থেকে সাদপন্থী মুসল্লিরা লাঠি, ছাতা ও ব্যাগ নিয়ে ইজতেমা মাঠের অন্যদিক দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। ফজরের নামাজের পর থেকে সাদপন্থী মুসল্লিরা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদেরকে টঙ্গী আহসানুল্লাহ মাস্টার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে বাড়ছে আহতের মিছিল। হাসপাতালের মেঝেতে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতো সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে ভীড় বাড়ছে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে। ইজতেমা ময়দানের চারদিকের প্রবেশপথে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর জের ধরে ৭টা থেকে বিমানবন্দর সড়কের গাজীপুরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিমানবন্দর সড়কের একপাশ রাস্তা অবরোধ করে রাখায় কুড়িল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে বিমানবন্দর পর্যস্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে শনিবার সকালে এক পক্ষ গাজীপুরের দিকে যাওয়ার সময় অপর পক্ষ তাদের বাধা দেয়। এসময় তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর তাবলীগ জামাতের এক পক্ষ বিমানবন্দর সড়কের একপাশ বন্ধ করে রেখেছে।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়েছে। তবে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তাবলিগ জামাতের সা’দবিরোধীরা আগে থেকেই টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান দখল করে রেখেছেন। সাদ অনুসারীরা শুক্রবার রাত থেকে ইজতেমা ময়দানে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন সা’দবিরোধীরা। এর জের ধরে তাবলীগ জামাতের এক পক্ষ বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে।

এদিকে নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইজতেমা আয়োজন বন্ধ করতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, মহানগর পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার সকালে টঙ্গীতে তাবলীগ-জামাতের দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার পরপরই এ চিঠি দেয়া হয়।

এর আগে শনিবার ভোর রাত থেকেই বিশ্ব ইজতেমা মাঠে মাওলানা জুবায়ের সমর্থিত তাবলীগ জামাতের মুসল্লিরা অবস্থান করছিলেন। ফজরের নামাজের আগে থেকে সাদপন্থী মুসল্লিরা লাঠি, ছাতা ও ব্যাগ নিয়ে ইজতেমা মাঠের অন্যদিক দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। ফজরের নামাজের পর থেকে সাদপন্থী মুসল্লিরা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদেরকে টঙ্গী আহসানুল্লাহ মাস্টার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে বাড়ছে আহতের মিছিল। হাসপাতালের মেঝেতে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতো সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে ভীড় বাড়ছে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে। ইজতেমা ময়দানের চারদিকের প্রবেশপথে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর জের ধরে ৭টা থেকে বিমানবন্দর সড়কের গাজীপুরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিমানবন্দর সড়কের একপাশ রাস্তা অবরোধ করে রাখায় কুড়িল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে বিমানবন্দর পর্যস্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এসএইচ-১৫/০১/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)