ইভিএমের ভোটকক্ষে ৪৫০ এর বেশি ভোটার নয়: ইসি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে সেখানকার প্রতিটি ভোটকক্ষে ৪৫০ জনের বেশি ভোটার থাকতে পারবে না। ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ ভোটার রেখে ভোটকক্ষ স্থাপনের চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য প্রয়োজনে প্রজ্ঞাপন সংশোধনের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

বৃহস্পতিবার ইসির সহকারী সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-১) রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি জারি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। ভোটের কমপক্ষে ২৫ দিন আগে আসনভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের প্রজ্ঞাপন জারির আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় ৪ ডিসেম্বর এ কাজ শেষে করেছে ইসি।

প্রতিটি সংসদীয় আসনের জন্য আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩, খুলনা-২, সাতক্ষীরা-২, ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩ ও চট্টগ্রাম-৯ – এই ছয় আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে নির্ধারিত ছয় আসনের জন্য কক্ষ প্রতি ভোটার বিন্যাস ৪০০ থেকে ৪৫০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে ভোটকেন্দ্রের গেজেটে ভোটকক্ষের সংখ্যা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী কক্ষের সংখ্যায় সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো প্রয়োজন।’

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত আরেকটি চিঠিতে বলা হয়, ছয় আসনে ৮৪৫টি ভোটকেন্দ্র এবং পাঁচ হাজার ৫১টি ভোটকক্ষ থাকবে। ৫ শতাংশ হারে অতিরিক্তসহ মোট প্রিসাইডিং অফিসার ৮৮৭, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার পাঁচ হাজার ৩০৪ এবং পোলিং অফিসার ১০ হাজার ৬০৮ জন থাকবেন। এ লক্ষ্যে ছয়টি আসনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ আয়োজন করা প্রয়োজন।

এসব ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশিক্ষক তৈরি করতে আসনভিত্তিক ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি প্যানেল প্রস্তুত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ সংক্রান্ত কমিটির সভায় নির্দেশনা দেয়া হয় দ্বিতীয় চিঠিতে।

বিএ-০৫/০৭-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)