নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বর্তমান সরকার। সকল ক্ষেত্রে নারীরা সমান সুযোগ পাচ্ছে। নারী ক্ষমতায়নে উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। নারী নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল বাংলাদেশ।

রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৮ উপলক্ষ্যে রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে নারী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করে দেই। আমরা মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছি। নারীদের আর পিছিয়ে পড়ার দিন নেই। দেশে এগিয়ে যাচ্ছে, নারীরাও এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ার ফলে আমরা আজ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি আরও এগিয়ে যাব। আর এ অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে আমরা নারীর সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবো। সেক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মজীবী নারীদের হোস্টেল করে দেব।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মনে রাখতে হবে সংসার সুখের হয় রমনির গুণে। মেয়েরা বেশি আয়ুষ্কালের হয়। বেশি কষ্ট সহিষ্ণু হয়। উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে আমরা স্থানীয় সরকারের নারীর অংশগ্রহনের কোট ৩০ শতাংশ নিশ্চিত করেছি। মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ নানাবিধ দিকে নারীর ভাগ্যের উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি।

আমরা আগমীতে প্রতিটি উপজেলায় কর্মজীবি নারীদের হোস্টেল করে দিব। যে হোটেলে থেকে নারী তার কর্মস্থলে স্বাচ্ছন্দে যোগ দিতে পারবেন। তাদের জীবন যাত্রাকে সহজ ও শান্তিময় করতে পারবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ৫ মহীয়সী নারীর হাতে রোকেয়া পদ তুলে দেন।

এ বছরে বেগম রোকেয়া পুরস্কার পেলেন- সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জিন্নাতুনন্নেসা তালুকদার, প্রফেসর জোগরা আনিস, শীলা রায়, রমা চৌধুরী (মরনোত্তর) ও রোকেয়া বেগম।
পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২৫ গ্রাম স্বর্ণের পদক, একটি সার্টিফিকেট ও দুই লাখ করে টাকা দেয়া হয়।

পদকপ্রাপ্ত জিন্নাতুনন্নেসা তালুকদার নিজের অনুভুতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এ পদককে তিনি বাংলাদেশের নারী সমাজকে উৎসর্গ করেন।

বিএ-১৬/০৯-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)