খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে রিটের আদেশ মঙ্গলবার

তিনটি আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে।এ বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রিটের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। কালই ফয়সালা হয়ে যাবে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কী পারবেন না।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে পৃথক তিনটি রিট করা হয়।

রোববারই সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার আদেশের দিন ধার্য করেন।

ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে চান। এই তিন আসনে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়।

কিন্তু দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নগুলো বাতিল করে দেন।

এর বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন বিএনপি নেতারা। ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের সবকটির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত দেন। শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন মাহবুব তালুকদার। এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি চারজন।

পরে প্রার্থিতা বাতিল করা রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত ও নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন।

বিএ-১০/১০-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)