পুলিশ হত্যায় ২০ চরমপন্থীর যাবজ্জীবন

মাদারীপুরের রাজৈর থানায় পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এসআই আবুল হাসনাইন আজম খান এবং প্রধান সহকারী কামরুল আলম খান ঠাকুরকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সর্বহারা ও চরমপন্থী দলের ২০ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির মধ্যে ১৩ জনই পলাতক। তারা হলেন-দাদন ফকির, আমীর হোসেন শেখ, জসিম শেখ, মাছিম শেখ, মজনু মাতুব্বর, ফয়েজ শেখ, উজ্জ্বল হাওলাদার, জাফর মাতুব্বর, কুব্বাস মাতুব্বর, হালিম আকন, মিরাজ শিকদার, এমে মোল্লা ও সুমন বাঘা।

মামলার ৩২ আসামির মধ্যে চারজন বন্দুকযুদ্ধে এবং দুজন বিচার চলাকালে মারা যান। বাকি ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জন পলাতক।

রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত সাজাপ্রাপ্ত অপর সাত আসামি মোশাররফ শেখ, আশরাফ শরিফ, বজলু আকন, আজাদ মোল্লা, দবির মোল্লা, সৈকত মোল্লা ও দীপু বিশ্বাসকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তারা এতদিন জামিনে ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল এসআই আবুল হাসনাইন আজম খান এবং প্রধান সহকারী কামরুল আলম খান ঠাকুর মোটরসাইকেলযোগে শাখার পাড় যাওয়ার পর আসামিরা তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন।

পুলিশ পরিচয় পেয়ে আসামিরা তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। এর পর মোটরসাইকেলসহ তাদের শ্রীনদীর দিকে নিয়ে যান তারা।

ট্রলারে উঠিয়ে প্রথমে মোটরসাইকেলটি নদীতে ফেলে দেন আসামিরা। এর পর প্রথমে কামরুলকে গলা কেটে হত্যার পর তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন্ন মাথা হাসনাইনের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়।

কামরুলের লাশ টুকরো টুকরো করে কেটে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পরে হাসনাইনকে একইভাবে হত্যার পর তার লাশও টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

২০০৭ সালের ৬ আগস্ট মাদারীপুরের রাজৈর থানার তৎকালীন ওসি একরাম মোল্লা ৩২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৮ সালের ৪ মে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

বিএ-০৯/১২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)