“যুদ্ধাপরাধের বিচারে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিশ্রুতি ভূতের মুখে রাম রাম”

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেয়া প্রতিশ্রুতিকে ভূতের মুখে রাম রাম বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগ।

সোমবার সকালে ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এ কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

যুদ্ধাপরাধের বিচার চালু রাখার অঙ্গীকার দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ভোটার টানার চেষ্টা করেছে কিনা এমন প্রশ্নে আবদুর রহমান বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় মনোনয়ন দিয়ে ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের বিষয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি অবশ্যই সতর্ক আছে। এটি তাদের ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছুই নয়।

প্রসঙ্গত আজ সকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। এতে ১৪ অঙ্গীকার ও ৩৫টি প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালু রাখা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এর সমালোচনায় বলেছেন-ঐক্যফ্রন্টের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যুদ্ধাপরাধীদের দল নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছে। এ ঐক্যফ্রন্ট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালু রাখবে-এটি কোনো দিনই দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে না।

আবদুর রহমান বলেন, মানুষের সঙ্গে তামাশা করার জন্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এমন ইশতেহার দিয়েছে। তারা ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে, তা কোনোভাবেই তাদের আচরণ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যায় না। মানুষের কাছেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা এমন ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু প্রমুখ।

বিএ-০১/১৭-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)