নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না বিএনপির ৪ উপজেলা চেয়ারম্যান

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা তিন উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রার্থিতা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আটকে গেছে। এছাড়া সোমবার বিএনপির আরেক উপজেলা চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

তারা হলেন- ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২০ আসনে প্রার্থী ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন, বগুড়া-৩ আসনের প্রার্থী আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোহিত তালুকদার এবং বগুড়া-৭ আসনের প্রার্থী শাহজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদল। ফলে এই চারজন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশন বৈধ ঘোষণা করলেও পরে হাইকোর্ট তা স্থগিত করেন। এরপর তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছিলেন চেম্বার আদালত। কিন্তু সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারকের আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছেন। ফলে তমিজ উদ্দিন নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

বগুড়ার মোহিত তালুকদার ও সরকার বাদলের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু ওই আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার আপিল বিভাগ ওই স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন।

আপিল আদালতে তিন প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও প্রবীর নিয়োগী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মাহবুবে আলম ও আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী। সানজিদ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে বিএনপি মনোনীত এ তিন প্রার্থী আর নির্বাচন করতে পারছেন না।

তমিজ উদ্দিন ও মোহিত তালুকদার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা গৃহীত না হওয়ায় তাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। আর সরকার বাদল পদত্যাগ না করেই প্রার্থী হয়েছিলেন। যার ফরে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এদিকে ঢাকা-১ আসনের বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাকের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনের বৈধতা পেয়েছিল। কিন্তু সোমবার তা স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই আসনে বিকল্প ধারার প্রার্থী (কুলা প্রতীক) জালাল উদ্দিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শামীম আহমেদ মেহেদী ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম। এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগেই আশফাক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করে দিয়েছেন।

বিএ-১৩/১৭-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)