জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু করে ভোট গণনা পর্যন্ত কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।
তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে দেশের মালিক জনগণ কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও ভোট দিতে আন্দোলন করতে হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল তা হল মানুষের ভোটের অধিকার ও নাগরিক অধিকার রক্ষা করা। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শহীদদের আমানত রক্ষা করতে হবে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পেশাজীবীদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমারা দেশের প্রজা নই আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। আওয়ামী তা বলতে পারে। যারা মনে করেন যে দু’একটি গুন্ডাপান্ডা দিয়ে ভয় দেখালেই আমরা ভীত হবো তারা আহাম্মক যুগে বাস করছে। কারণ কয়েকটি গুন্ডাপান্ডা দিয়ে ১৮ কোটি মানুষকে মেরে ফেলা সম্ভব না। আমি মনে করি সেনাবাহিনী পক্ষপাতিত্ব করবে না। নিজেদেরকে লজ্জায় ফেলবেন না।
পুলিশের উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা পালন করেছিল তার উত্তরসূরি হিসাবে আপনারা উপর মহলের কোন আদেশ মানবেন না। কারণ বেআইনি আদেশ পালন করা অপরাধ।
পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জনস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী,গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ঢাকা-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা-৭ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রমুখ।
বিএ-১৭/২৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)