‘বিএনপি-জামায়াতের কথার প্রতিধ্বনি করছে টিআইবি’

একাদশ সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না হয়ে টিআইবি মনগড়া প্রতিবেদন দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের কথার প্রতিধ্বনি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, মুখ থুবড়ে পড়া বিএনপি-জামায়াতের পরাজিত নেতারা যখন আইসিইউতে, তখন টিআইবি তাদের অক্সিজেনের ভ‚মিকা নিয়েছে। টিআইবি নির্বাচনে পর্যবেক্ষকও ছিল না। যারা পর্যবেক্ষক ছিল তারা বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু, আর পর্যবেক্ষক না হয়ে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের কথার প্রতিধ্বনি করছে টিআইবি।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ সফল করতে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।

ঐক্যফ্রন্টের জাতীয় সংলাপের প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের বিজয় যেমন বিশাল, প্রতিপক্ষের (ঐক্যফ্রন্ট) পরাজয়ও তেমন ধস নামানো। মুখ রক্ষার জন্য ও কর্মীদের বোঝানোর জন্য কিছু একটা করতে হয়, সে জন্য তাদের নতুন বাহানা হচ্ছে জাতীয় সংলাপ। নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এবং রাজনৈতিক আলোচনায় টিকে থাকার জন্য এই জাতীয় সংলাপের কথা বলছে তারা।

আওয়ামী লীগের আমলে দেশের উন্নয়নের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিমান থেকে এ দেশের ফ্লাইওভার আর গগনচুম্বী অট্টালিকা দেখে ইউরোপের মতো মনে হয়। হাতিরঝিলের সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেয় প্যারিসের কথা। গ্রামে আর কুঁড়েঘর পাওয়া যায় না। হারিকেন আজ স্মৃতির অংশ। শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে এই দেশ আজ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

এ সময় টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, কাঁধে দায়িত্ব এলে বিনয়ী ও নম্র হতে হয়। বিজয়ীর আচরণ যেন কারও বিরক্তির কারণ না হয়। বিজয়ের পর যেভাবে আমরা নেত্রীর নির্দেশ মেনে চলেছি, তা বজায় রাখতে হবে।

বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করা হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে আট বছরের শিশুকেও ধর্ষণ করা হয়েছিল, গ্রামছাড়া হয়েছিল বহু পরিবার। আর টানা তৃতীয়বার বিজয়ী হয়েও আওয়ামী লীগ বিজয়োৎসব করেনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাবেশ বর্ণিল কিন্তু সুশৃঙ্খল হবে। নেত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়া পর্যন্ত সবাই উপস্থিত থাকব।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএ-১০/১৮-০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)