সংসদ না ভেঙ্গে শপথ, রিটের আদেশ ১৮ ফেব্রুয়ারি

দশম জাতীয় সংসদ ভেঙে না দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আদেশ ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের ওপর শুনানি করেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সাকিব মাহবুব। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেওয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন রিটটি দায়ের করেন।

শুনানিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সেই অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ায় বর্তমানে দুটি সংসদ বহাল রয়েছে,যা সংবিধানের পরিপন্থী। বর্তমানে এসব সংসদ সদস্যদের দ্বারাই মন্ত্রী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। পূর্বের একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় পুনরায় সংসদ ও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ।

অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা যদিও আগে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের কার্যক্রম শুরু হওয়ার মাধ্যমে সদস্যদের কার্যক্রম শুরু হয়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনের তেমন ব্যত্যয় ঘটেনি।’

শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

রিটে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে অথাৎ দশম সংসদ ভেঙে না দিয়ে একাদশ সংসদে নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেওয়ায় বর্তমানে দুটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি একাদশ সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাতিলের দাবি জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশও দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। তবে ওই নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি রিটটির ওপর শুনানি শেষ হলে ১৭ জানুয়ারি আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। তবে আদেশের দিন রিট আবেদনকারী উপযুক্ত পক্ষ না হওয়ায় আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করিয়ে নেন রিটকারীর আইনজীবীরা। এরপর ব্যারিস্টার খোকন নতুন করে একই গ্রাউন্ডে রিট দায়ের করেন।

বিএ-১৬/০৬-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)