হাইকোর্টে বিএনপির আরো ৭ প্রার্থীর আবেদন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের আরো সাত প্রার্থী।

রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসব আবেদন করা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানান পাঁচ জনের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান।

আবেদনকারীরা হচ্ছেন- অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান (জয়পুরহাট-২), মাহমুদুল হক রুবেল (শেরপুর-৩), আবু ওহাব আকন্দ ওয়াহিদ (ময়মনসিংহ-৪), আবুল হোসেন খান (বরিশাল-৬), মো. শরিফুল আলম (কিশোরগঞ্জ-৬), শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন (জামালপুর-৫) এবং আনোয়ারুল হক (নেত্রকোনা-২)।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন, ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিয়ন এবং অ্যাডভোকেট খন্দকার বাহার রুমী।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপি, গণফোরাম ও প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিভ পার্টি (পিডিপি) এর ৭৪ জন প্রার্থী হাইকোর্টের নির্বাচনী আদালতে নির্বাচন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৫ বিএনপি প্রার্থী হাইকোর্টে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি আরো দুই বিএনপি প্রার্থী এবং গত বৃহস্পতিবার ৭৪ পরাজিত প্রার্থী আবেদন করেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬) মফিজুল ইসলাম খান কামাল (মানিকগঞ্জ-৩) এবং মোস্তফা মহসীন মন্টু (ঢাকা-৭) গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।

এছাড়া রংপুর-৩ আসনে প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিভ পার্টি (পিডিপি) এর সাব্বির আহমেদ নির্বাচনে অংশ নেন।

প্রত্যেক আবেদনকারী নিজ নির্বাচনী আসনের অন্য প্রার্থীদের বিবাদী করেছেন। আবেদনে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ ও সাক্ষীদের তলবের আরজি জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই আসনের বিজয়ী প্রার্থীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক সংসদীয় আসনের নির্বাচন বাতিল চাওয়া হয়েছে।

৭৪ আবেদনকারীর আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, মীর নাসির উদ্দিন, ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার রাজিব প্রধান এবং ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

নির্বাচনী আবেদন শুনানির জন্য বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার, বিচারপতি রেজউল হাসান, বিচারপতি একেএম জহিরুল হক, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন নিয়ে পৃথক পৃথক নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়।

তবে এ সময়সীমার পরেও বিলম্ব মার্জনা চেয়ে আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিএ-১৮/১৭-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)