মরদেহ ফিরিয়ে আনতে নিউজিল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হবে স্বজনদের

ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে স্বজনদের নিউজিল্যান্ড নিয়ে যাবে সরকার। রোববার এক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ কথা জানান।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি যারা নিহত হয়েছেন, ইতোমধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, সেসব পরিবার থেকে একজন করে সদস্যকে সরকারি খরচে নিউজিল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকার মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের একটি বেসরকারি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নিহত ৫০ জনের ওই তালিকায় চার জন বাংলাদেশির নাম রয়েছে। তারা হলেন ড.আবদুস সামাদ, হুসনে আরা পারভীন, মোজাম্মেল এবং ওমর ফারুক। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের উপ- প্রধান তারেক আহমেদ রোববার (১৭ মার্চ) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা এখনও জাকারিয়া ভুইয়া নামে আরেক বাংলাদেশিকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমি এখন (রবিবার সকালে) মর্গের সামনে আছি, জাকারিয়া ভুইয়াকে চেনেন এমন একজনকে নিয়ে। আমি পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছি জাকারিয়ার মরদেহ সেখানে আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই ব্যক্তিকে যেন মর্গে ঢুকতে দেওয়া হয়। আশা করি, পুলিশ তাকে মর্গে ঢোকার অনুমতি দেবে।

তারেক আহমেদ আরও জানান, গুরুতর আহত লিপির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ তার অপারেশন হবে।

অন্যদিকে, আহত রুবেল ও মোতাচ্ছের ভালো আছেন।

শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি পার্কের মসজিদ আল নূর ও শহরতলী লিনউডের মসজিদে হামলা চালায় বন্দুকধারী এক যুবক। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৮ জন। উগ্রবাদী শ্বেতাঙ্গ ভাবাদর্শের অস্ট্রেলীয় যুবক ব্রেন্টন, ইউরোপের অভিবাসী মুসলিমদের ওপর ঘৃণার বশবর্তী হয়ে এই হামলা চালিয়েছেন বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।

এদিন দেশটির পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেন, হামলার অভিযোগে আটক অন্যরা এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নাও হতে পারে। তবে আমি কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য করবো না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মরদেহগুলো শনাক্ত করা হবে। হামলাকারী যুবক ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে (২৮) আদালতে নেওয়া হবে সোমবার।

বিএ-০৯/১৭-০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)