এমপি কমলকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ ইসির

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলকে রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সাইমুম সরওয়ার কমল রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে একজন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ২২ বিধি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিধানে বলা আছে- সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচনী প্রচারণা এবং সরকারি সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত বাধা নিষেধ (১) সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। (২) নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সাইমুম সরওয়ার কমল বিধিবহির্ভূতভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন। তাই তাকে আগামী ১৭ মার্চ বিকেল ৫টার মধ্যেই নির্বাচনী এলাকা রামু উপজেলা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে এই নির্দেশ পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের জারিকৃত তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৪ মার্চ রামু উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম (নৌকা)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল (আনারস)। সোহেল সরোয়ার কাজল স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরোয়ার কমলের আপন বড় ভাই।

পারিবারিক দ্বন্ধের কারণে ভাই-ভাইয়ে দা-কুমড়া সম্পর্ক। সে কারণে গত একযুগ ধরেই কাজল বিরোধী হিসেবে কাজ করে আসছেন এমপি কমল। নিজের প্রার্থী হিসেবে ভাইয়ের বিরুদ্ধে গত বারও রিয়াজ উল আলমকে সমর্থন দেন এবং আওয়ামী লীগে নিজের বলয় তৈরি করেন কমল। এবারও রিয়াজকে নৌকা পাইয়ে দিতে মূল ভূমিকা রাখেন এমপি কমল এবং তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি। এসব অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর পর সত্যতা পেয়ে তাকে (এমপি কমলকে) রামু এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

বিএ-২২/১৭-০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)