অতিরিক্ত সিম সংযোগ বন্ধের নির্দেশ বিটিআরসি’র

গত বৃহ¯পতিবার এই নির্দেশ দেয়া হয়। যার আওতায় উল্লেখিত সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কেনা অতিরিক্ত সংযোগগুলো বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে প্রতি পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টি মোবাইল সংযোগ কেনার সুযোগ রয়েছে, তবে অনেক গ্রাহকই এর অপব্যবহার করে নির্ধারিত সঙ্খ্যার চাইতেও বেশী সংযোগ কিনেছেন। যা বন্ধ করতে চাইছে সরকার।

বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলিটরি কমিশনের মহাপরিচালক ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনা ইতোমধ্যেই দেশের শীর্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী কো¤পানিগুলোর সদর দফতরে পৌছে গেছে।

বিটিআরসি’র নির্দেশনায় সতর্ক করে বলা হয়, যে সকল কো¤পানি এই নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি, বিপুল পরিমাণ জরিমানাও ধার্য করা হবে। ইতোপূর্বে, ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিটিআরসি মোবাইল কো¤পানিগুলোকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির অধিক সিম বা সংযোগ বিক্রি না করার নির্দেশনা দিয়েছিলো।

যদিও, তা না মেনেই অনেক গ্রাহকের কাছে ২০টির বেশি সিম বিক্রি করা হয়েছে, অভিযোগ বিটিআরসির। এই বিষয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে আরেকটি সিম নিবন্ধন বাতিলের নির্দেশনা জারি করেছিলো সংস্থাটি। এরপরেও, অনেক অনুমোদনহীন অতিরিক্ত সংযোগ এখনো সক্রিয় রয়েছে।

গত বুধবার দেশের টেলিকম খাতের কো¤পানিগুলোর সঙ্গে এক বৈঠক করেন বিটিআরসির শীর্ষ কর্মকর্তারা। এরপরেই বৃহ¯পতিবারের নির্দেশনা জারি করা হয়। বুধবারের বৈঠকের মূল বিষয় ছিলো কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক মনিটরিং প্লাটফর্ম স্থাপনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা।

বিটিআরসি কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত পরিমাণের চাইতে বেশি সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। ২৬ এপ্রিলই শেষ সময়। এর মাঝেই সকল অতিরিক্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার তাগিদ দেয়া হয়। এছাড়াও, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন ব্যতীত নতুন সিম কেনা বা চালু না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এসএইচ-১১/৩০/১৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)