টিআইবির কাছে ব্যাখ্যা চাইবে শ্রম মন্ত্রণালয়

নতুন কাঠামোতে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি, উল্টো ২৬ শতাংশ কমেছে বলে দেয়া প্রতিবেদনের বিষয়ে টিআইবির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

শনিবার সচিবালয়ে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদযাপন নিয়ে এক সংবাদদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মঙ্গলবার ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন : অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, আইন অনুযায়ী প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানোর নিয়ম রয়েছে। এ হিসাবে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি, বাস্তবিক অর্থে সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ সালে আমরা যখন মজুরি কাঠামো দেই, তখন শেষ পর্যন্ত বার্গেনিং প্রধানমন্ত্রীই করেন। মালিকরা তো মজুরি বাড়াইতেই চান না। সেই সময় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা। ওই সময়ই প্রথম ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট যোগ করেছি। এবার মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ৮ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এটাও কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মজুরি ঘোষণা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। ৩, ৪, ৫ নম্বর গ্রেড পর্যন্ত মজুরি হিসাব অনুযায়ী কমে গেছে, বাড়েনি। আমরা এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাই এবং মালিকরাও সম্মত হয়। মূল বেতন ৮ হাজারের সঙ্গে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা যোগ হবে।’

টিআইবির কাছে কোনো ব্যাখ্যা চাওয়া হবে কিনা-এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই চাওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা তো এটা কোনোদিনও মেনে নেবেন না।’

এ সময় বক্তব্য রাখেন, পোশাক শ্রকিদের ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ফজলুল হক মন্টু, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব উম্মুল হাছনা উপস্থিত ছিলেন।

বিএ-১৩/২৭-০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)